বৃহস্পতিবার , ২১ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১১:৩০ ১৮ আগস্ট ২০২৪
বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো ভুল মমতা বন্দোপাধ্যায় করবেন না বলে মন্তব্য করেছেন পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল তৃণমূল কংগ্রেস দলীয় মন্ত্রী উদয়ন গুহ। আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবি ওঠায় এই মন্তব্য করেছেন তিনি।
উদয়ন গুহ বলেছেন, যারা মমতার দিকে আঙুল তুলবেন তাদের আঙুল ভেঙে দেওয়া হবে। কলকাতার দিনহাটার বিধায়ক ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহের এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন রাজ্যের বিরোধীদলীয় নেতারা। মমতার দলের এই মন্ত্রী মন্ত্রী আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক-খুনের প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে আন্দোলনের সঙ্গে বাংলাদেশের সরকার-বিরোধী বিক্ষোভের তুলনাও টেনেছেন।
আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে ও দোষীদের ফাঁসির দাবিতে শনিবার কোচবিহার জেলায় বিক্ষোভ-প্রতিবাদ করেছে তৃণমূল। কোচবিহার সদর, দিনহাটা, মাথাভাঙা, তুফানগঞ্জে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের বাংলা দৈনিক আনন্দবাজার লিখেছে, কোচবিহারের সাগরদিঘিতে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ সমাবেশের মঞ্চে দাঁড়িয়ে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন বলেন, ‘‘এই ঘটনায় যারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে আঙুল তুলছেন, যারা সমাজমাধ্যমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গালাগালি করছেন, যারা আঙুল তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ চাইছেন, সেই আঙুলগুলোকে চিহ্নিত করে ভেঙে দেওয়ার বন্দোবস্ত করতে হবে। না হলে তারা বাংলাকে বাংলাদেশ তৈরির চেষ্টা করবে।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘কিন্তু তারা জানেন না শেখ হাসিনা যে ভুল করেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই ভুল করবেন না, করেননি। তাই আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে ভাঙচুর করার পরও পুলিশ গুলি চালায়নি। পুলিশ এখানে বাংলাদেশ করতে দেবে না। সরকার এখানে বাংলাদেশ করতে দেবে না। তৃণমূলের কর্মীরা সাধারণ মানুষের সহযোগিতা নিয়ে বাংলাকে বাংলাদেশ করতে দেবেন না।’’
উদয়নের এই বক্তব্যের পর কটাক্ষ করেছেন জেলা বিজেপির সভাপতি সুকুমার রায়। তিনি বলেন, ‘‘হাজার হাজার, লাখ লাখ মানুষ এখন মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চাইছেন রাস্তায় নেমে। রাত দখল করেছেন নারীরা। ওই কর্মসূচিতে কত লোক হয়েছিল! তিনি (উদয়ন) কয়টা হাত ভাঙবেন? কার আঙুল ভাঙবেন। এমন যেন না হয়। আগামী দিনে তার (উদয়ন) আঙুলও যেন ঠিক থাকে।’’
বিজেপির এই নেতা বলেন, ‘‘পুলিশের মদদেই সব হচ্ছে। সেদিন (১৪ আগস্ট রাতে) আরজি করে যদি বিরোধী দলের লোক থাকতেন, তাহলে পুলিশ গুলি করতো।’’
বিজ্ঞাপন