গাজায় সহিংসতা ও অনাহারে আরও ৭৬ প্রাণ ঝরল, শিশুমৃত্যু বেড়ে ৮৫

গাজায় সহিংসতা ও অনাহারে আরও ৭৬ প্রাণ ঝরল, শিশুমৃত্যু বেড়ে ৮৫

অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি
অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি

প্রকাশিত: ০৩:৫৬ ২৭ জুলাই ২০২৫

গাজায় যেন প্রতিটি দিনই এক নতুন দুঃস্বপ্ন হয়ে উঠছে। বোমার গর্জন, ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া আর দুর্ভিক্ষে নিঃশেষ হয়ে যাওয়া প্রাণ—এই সবকিছুর মাঝে মানুষগুলো কেবল বেঁচে থাকার লড়াই করছে। শনিবার (২৬ জুলাই) দিনভর ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৭১ জন ফিলিস্তিনি। হৃদয়বিদারক ব্যাপার হলো, তাদের মধ্যে ৪২ জন ছিলেন ত্রাণের আশায় লাইনে দাঁড়িয়ে—যাদের শেষ আশাটুকুও বোমায় ঝলসে গেল।

এই রক্তাক্ত বাস্তবতায় যোগ হয়েছে অনাহার আর পুষ্টিহীনতার করুণ চিত্র। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অবরোধের কারণে দুর্ভিক্ষ চরম আকার ধারণ করেছে। শনিবার অনাহারে মারা গেছেন আরও ৫ জন। যুদ্ধ শুরুর পর অপুষ্টিজনিত কারণে মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২৭ জনে, যাদের মধ্যে ৮৫ জনই শিশু।

এই নিষ্ঠুর বাস্তবতায় যখন গোটা বিশ্ব চুপচাপ তাকিয়ে, তখন ইসরায়েল বলছে, তারা কিছু ‘বেসামরিক এলাকা ও মানবিক করিডোরে’ সামরিক অভিযান স্থগিত রাখবে রোববার থেকে—যাতে ত্রাণ পৌঁছানো যায়। কিন্তু তারা সুনির্দিষ্টভাবে জানায়নি কোন এলাকায় এই বিরতি কার্যকর হবে।

অন্যদিকে, ত্রাণ না পৌঁছানোর দায় ইসরায়েল ফের চাপিয়েছে জাতিসংঘের ওপর। কিন্তু জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, ইসরায়েলের কাছ থেকে নিরাপদ পথ ও অনুমতি না পাওয়ায় তারা অসহায়। গাজার মানুষদের সাহায্য করতে চাইলেও তারা পারছেন না।

দিন শেষে, গাজার প্রতিটি শিশু, মা, বৃদ্ধ আর তরুণ শুধু একটিই প্রশ্ন করছে—এই নরক থেকে মুক্তি কবে?
আর আমরা? আমরা কেবল সংখ্যায় গুনছি হারিয়ে যাওয়া জীবনগুলো।

সূত্র: আল জাজিরা

বিজ্ঞাপন