ভয়াবহ যুদ্ধ ঠেকাতে ভারত-পাকিস্তানের মাঝে যুক্তরাষ্ট্র!

ভয়াবহ যুদ্ধ ঠেকাতে ভারত-পাকিস্তানের মাঝে যুক্তরাষ্ট্র!

অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি
অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি

প্রকাশিত: ০৬:০৪ ১১ মে ২০২৫

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে নতুন করে সৃষ্ট উত্তেজনা দ্রুতই ভয়াবহ সংঘাতে রূপ নিচ্ছিল। দুই দেশের মধ্যে চলমান সীমান্ত সংঘর্ষ, বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। এমন সময় যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হস্তগত করে, যা সংকট আরও গভীর করার শঙ্কা জাগায়।

শুক্রবার সকালে পাওয়া সেই গোপন তথ্য অনুযায়ী, ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ যে কোনো সময় পরমাণু সংঘাতে গড়াতে পারে—এমন সম্ভাবনা সামনে আসে। যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ স্যুজি ওয়াইলস দ্রুত পরিস্থিতি পর্যালোচনা শুরু করেন। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বিষয়টি অবহিত করার পর, ভাইস প্রেসিডেন্ট ভ্যান্স সরাসরি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফোন করেন।

ফোনালাপে ভ্যান্স স্পষ্ট করে বলেন, এই মুহূর্তে সংঘাত বাড়ার ঝুঁকি অত্যন্ত বেশি। তিনি মোদিকে আহ্বান জানান যেন ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে, যাতে একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ খোঁজা যায়। যুক্তরাষ্ট্রের ধারণা ছিল, সে সময় দিল্লি ও ইসলামাবাদের মধ্যে কার্যকর যোগাযোগ ছিল না।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর সারা রাত ধরে দুই দেশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ চালিয়ে যায়। যদিও যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি কোনো শান্তিচুক্তির খসড়ায় যুক্ত ছিল না, তবে আলোচনার টেবিলে দুই দেশকে বসাতে এবং যুদ্ধবিরতিতে রাজি করাতে তাদের কূটনৈতিক চাপ কার্যকর ভূমিকা রাখে।

অবশেষে শনিবার সকালে ভারত ও পাকিস্তান তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয়। এতে চলমান গোলাবর্ষণ, বিমান ও ড্রোন হামলার সমাপ্তি ঘটে।

এই গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা আসে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ট্রুথ সোশ্যাল অ্যাকাউন্টে, যেখানে তিনি লেখেন, “একটি দীর্ঘ রাতের আলোচনার পর ভারত ও পাকিস্তান সম্পূর্ণ ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। সাধারণ বোধ ও অসাধারণ বিচক্ষণতার জন্য দুই দেশকেই অভিনন্দন।”

এরপর নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদ থেকে যুদ্ধবিরতির বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়। দক্ষিণ এশিয়ায় হঠাৎ সৃষ্টি হওয়া যুদ্ধের আতঙ্ক কিছুটা প্রশমিত হয়।

বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ ছাড়া পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারত। তবে এখনো স্পষ্ট নয়, ঠিক কী ধরনের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্র এত দ্রুত সক্রিয় হলো। অনেকেই ধারণা করছেন, বিষয়টি পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের সম্ভাবনার সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল।

বিজ্ঞাপন