সশস্ত্র বাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিলেন মোদি, যে কোনো মুহূর্তে হামলা!

সশস্ত্র বাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিলেন মোদি, যে কোনো মুহূর্তে হামলা!

অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি
অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি

প্রকাশিত: ০৬:৪০ ২৯ এপ্রিল ২০২৫

কাশ্মিরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক বন্দুকধারীদের হামলার প্রেক্ষিতে যে কোনও সময় ভারতের তরফ থেকে পাল্টা সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে—এমন ইঙ্গিতই মিলেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাম্প্রতিক বৈঠক থেকে। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) নয়াদিল্লিতে নিজের বাসভবনে দেশের শীর্ষ নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তিনি।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তিন বাহিনীর প্রধান, চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ (CDS) অনীল চৌহান, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। এই উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন—ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। কবে, কখন এবং কোথায় হামলা চালানো হবে, তা নির্ধারণের অধিকার পুরোপুরি বাহিনীর হাতেই থাকবে।

টাইমস নাউ নিউজ ও এনডিটিভি-র খবরে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছেন, “সন্ত্রাসবাদের ধ্বংসাত্মক আঘাত ভারতের জাতীয় সংকল্প।” তার এ বক্তব্যের মাধ্যমে পেহেলগামে হামলার পেছনে জড়িতদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালানোর জন্য 'সবুজ সংকেত' পেয়েছে সেনাবাহিনী—এমনটাই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

বৈঠকের পরপরই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ প্রধানমন্ত্রী মোদির বাসভবনে যান, যা পরিস্থিতির গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দেয়।

কাশ্মিরের পেহেলগামের সাম্প্রতিক হামলার জন্য ভারত সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করছে। যদিও পাকিস্তান বরাবরের মতোই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। উল্লেখযোগ্য যে, ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে জম্মু-কাশ্মিরের পুলওয়ামায় জইশ-ই-মোহাম্মদের আত্মঘাতী হামলায় ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান নিহত হন। সেই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ভারত পাকিস্তানের বালাকোটে বিমান হামলা চালানোর দাবি করে।

বুধবার মোদি মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটির (CCS) সঙ্গে বৈঠক করবেন। সেখানে এই পরিস্থিতি ঘিরে চূড়ান্ত কৌশলগত সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
 

বিজ্ঞাপন