পাকিস্তানের হামলার ভয়ে বাঙ্কার প্রস্তুতে ব্যস্ত ভারতীয়রা!

পাকিস্তানের হামলার ভয়ে বাঙ্কার প্রস্তুতে ব্যস্ত ভারতীয়রা!

অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি
অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি

প্রকাশিত: ০৩:৪০ ২৭ এপ্রিল ২০২৫

ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে ২৬ জনকে হত্যার ঘটনায় ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমশ তীব্র আকার ধারণ করছে। এরই মধ্যে দুই দেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় একাধিকবার গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। এমন উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে সম্ভাব্য বড় হামলার আশঙ্কায় ভারতের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে বাসিন্দারা বাঙ্কার প্রস্তুতের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ভাস্কর লাইভ জানিয়েছে, জম্মু-কাশ্মিরের পুঞ্চ বিভাগের পরিস্থিতি সবচেয়ে বেশি উত্তপ্ত। বিশেষ করে ভারতের শেষ প্রান্তে অবস্থিত সালোত্রি গ্রামে টানা দুইদিন ধরে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে গ্রামবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সম্ভাব্য হামলা থেকে নিজেদের রক্ষার জন্য তারা সরকারি সহায়তায় নির্মিত কমিউনিটি বাঙ্কারগুলো পরিষ্কার ও প্রস্তুত করছেন।

সালোত্রি গ্রামটি লাইন অব কন্ট্রোলের (এলওসি) খুব কাছাকাছি অবস্থিত হওয়ায় এখানকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক আরও বেশি। তবে শঙ্কার মধ্যেও তারা সাহসিকতার সঙ্গে নিজেদের প্রস্তুত রাখছেন।

সরকারি এক কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমটিকে জানিয়েছেন, “পাকিস্তানি সেনারা ছোট অস্ত্র দিয়ে ভারতীয় সেনাদের অবস্থান লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছে। এর জবাবে ভারতীয় সেনাবাহিনীও কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।”

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ভারত সরকার তাদের জন্য শক্তপোক্ত, বুলেটপ্রুফ বাঙ্কার নির্মাণ করে দিয়েছে। এই বাঙ্কারগুলো মাটির প্রায় ১০ ফুট গভীরে তৈরি করা হয়েছে, যা গোলাবর্ষণ ও গুলির সময় তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সক্ষম।

এক গ্রামবাসী বলেন, “আমরা সীমান্ত এলাকায় বাস করি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বেসামরিক নাগরিকদের জন্য যেসব বাঙ্কার নির্মাণ করে দিয়েছেন, সেগুলো খুবই মজবুত এবং নিরাপদ। আমরা প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানাই। এখন আমাদের গ্রামেই আমরা নিরাপদ বোধ করছি।”

তিনি আরও বলেন, “পেহেলগামে সশস্ত্র হামলাকারীরা যেটি করেছে, তা কাপুরুষোচিত। আমাদের হিন্দু ভাইদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। এর জবাব দেওয়া আবশ্যক। যখন ভারতীয় সেনারা প্রতিক্রিয়া দেখাবে, তখন আমাদের নিরাপদ স্থানে যেতে হবে। এজন্য আমরা আমাদের বাঙ্কার প্রস্তুত রাখছি।”

এদিকে, কারগিল যুদ্ধের সময় এলওসির কাছের হুন্দারমান গ্রামে ২১৭ জন বাসিন্দা একটি বাঙ্কারে আশ্রয় নিয়েছিলেন, যা এখনও সংরক্ষিত রয়েছে। তবে সে সময় সালোত্রি গ্রামে কোনো বাঙ্কার ছিল না। স্থানীয় মানুষদের তখন পালিয়ে পুঞ্চ শহরে আশ্রয় নিতে হয়েছিল। এখন নতুন করে নির্মিত বাঙ্কারগুলোর কারণে তারা নিজেদের গ্রামেই নিরাপদ আশ্রয় পাচ্ছেন।

বিজ্ঞাপন