রবিবার , ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ১১ ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ছবি: সংগৃহীত
প্রকাশিত: ০৫:৩১ ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
ফ্রান্সের প্যারিসে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে আন্তর্জাতিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সনদে স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র। তবে, ফ্রান্স, চীন এবং ভারতসহ ৬০টি দেশ ঐতিহাসিকভাবে এই সনদে স্বাক্ষর করেছে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বরাত দিয়ে জানা গেছে, যুক্তরাজ্য সনদের সব অংশের সঙ্গে একমত হতে পারেনি, তাই তারা শুধু জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ উদ্যোগগুলোতে স্বাক্ষর করবে।
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স জানিয়েছেন, অতিরিক্ত বিধিনিষেধ প্রযুক্তির বিকাশে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। তিনি আরও বলেন, "এআই উন্নয়নের জন্য এমন বিধিনিষেধ প্রয়োজন যা উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করবে।"
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ এআই প্রযুক্তি উন্নয়নে কঠোর নিয়মের পক্ষে মন্তব্য করেছেন, বলছেন, "এআই প্রযুক্তির উন্নয়ন নিশ্চিত করতে আমাদের নিয়ম প্রয়োজন।"
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেয়েন সম্মেলনের গুরুত্ব উল্লেখ করে বলেছেন, "এখন আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন বাস্তব পদক্ষেপের দিকে এগোনো।"
এআই সনদের মূল লক্ষ্যসমূহের মধ্যে রয়েছে এআই প্রযুক্তির সমতা ও প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা, উন্নয়নকে স্বচ্ছ ও নিরাপদ করা, এবং মানুষের জন্য টেকসই এআই নিশ্চিত করা। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, ভবিষ্যতে এআই প্রযুক্তির বিদ্যুৎ চাহিদা অনেক ছোট দেশের সমপরিমাণ হতে পারে।
যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্ত পশ্চিমা সম্পর্কের মধ্যে নতুন চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করতে পারে, এবং বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, যুক্তরাজ্য এআই নেতা হিসেবে তার অবস্থানকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্কও উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠেছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে স্টিল ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানির ওপর শুল্ক বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যা যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলবে।
যুক্তরাজ্য বর্তমানে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখার পাশাপাশি ইউরোপের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ার কৌশল অবলম্বন করছে।
বিজ্ঞাপন