শনিবার , ১৮ জানুয়ারি, ২০২৫ | ৪ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ছবি : সংগৃহীত
প্রকাশিত: ১২:০৩ ১১ জানুয়ারী ২০২৫
শুক্রবার ভারতের কলকাতায় এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, "গত সপ্তাহে আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ভারত সফরে এসে শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকের একটি বড় অংশ ছিল বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা। আমরা কীভাবে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে পারি, দেশটি কীভাবে দ্রুত নির্বাচন দিতে পারে, এবং সেখানে সকল নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে—এগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা সবাই একটি স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ এবং সহনশীল বাংলাদেশ দেখতে চাই।"
এরিক গার্সেটি আরও বলেন, "যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত একে অপরের সঙ্গে আরো ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে পারবে।"
মার্কিন রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন, "যেকোনো রাজনৈতিক পালাবদল কঠিন এবং সবসময় তা ইতিবাচক হবে না, তবে যদি বিশ্বের অন্যান্য দেশ এটি গ্রহণ করে এবং দেখে যে, যুক্তরাষ্ট্র, ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে অনেক মিল রয়েছে, তবে এটি একটি ইতিবাচক পরিবর্তন হতে পারে।"
এছাড়া, তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের সম্পর্কের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বলেন, "বিশ্ব উষ্ণায়ন, বাণিজ্য, তথ্যপ্রযুক্তি যোগাযোগের প্রসার থেকে শুরু করে অনেক ক্ষেত্রে ভারত যুক্তরাষ্ট্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।"
গার্সেটি আরও বলেন, "কোনো গণতন্ত্রই নিশ্ছিদ্র নয়। এটি ঠিকভাবে পরিচর্যা করতে হয়, ঠিক যেমন বাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ করতে হয়।"
এদিকে, বাংলাদেশে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর থেকে ভারত-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের মধ্যে টানাপোড়েন চলছে। সেই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে কূটনৈতিকভাবে আলোচনা চলছে। গত ৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সফরে আসা ভারতীয় পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি বলেন, "শেখ হাসিনার অবস্থান দুই দেশের সম্পর্কের জন্য বাধা হওয়া উচিত নয়।"
এছাড়া, ভারত হিন্দুদের নিপীড়নের কথা বললেও বাংলাদেশে এ ধরনের অভিযোগের ভিত্তি মেলেনি। গত ৩১ অক্টোবর, ট্রাম্প বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ‘বর্বর সহিংসতার’ নিন্দা জানান এবং মন্তব্য করেন, “এটা তার তত্ত্বাবধানে কখনো ঘটত না।”
এ ধরনের মন্তব্যের পর বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্বেগ বৃদ্ধি পেয়েছে, বিশেষ করে আগামী ২০ জানুয়ারি ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে।
বিজ্ঞাপন