শনিবার , ০২ আগস্ট, ২০২৫ | ১৮ শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ছবি সংগৃহিত
প্রকাশিত: ০৭:২১ ১০ জুলাই ২০২৫
জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রখ্যাত শিক্ষক অধ্যাপক ড. আবুল বারকাতকে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে ধানমন্ডি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (ডিবি-দক্ষিণ) মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম জানান, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়েরকৃত একটি মামলার অধিযাচনের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশের একটি বিশেষ দল অধ্যাপক বারকাতকে গ্রেপ্তার করে।
তিনি আরও বলেন, “মামলাটি বর্তমানে দুদকের তদন্তাধীন রয়েছে। প্রাথমিক তথ্য-উপাত্ত এবং অভিযোগ যাচাই-বাছাই শেষে আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে গ্রেপ্তার কার্যকর করা হয়েছে। আগামিকাল শুক্রবার (১১ জুলাই) তাকে দুদকের কাছে হস্তান্তর করা হবে।”
তবে গ্রেপ্তারকৃত অধ্যাপক বারকাতের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার প্রকৃতি, ধারা এবং অভিযোগের বিস্তারিত এখনও প্রকাশ করেনি ডিবি বা দুদক। গ্রেপ্তারের পর তাকে কোথায় রাখা হয়েছে এবং তাকে কোন থানায় দেখানো হয়েছে, সে বিষয়েও এখনো নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে, এই গ্রেপ্তারের খবরে দেশের আর্থিক এবং প্রশাসনিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। বিশেষজ্ঞ মহলের অনেকেই একে ব্যাংক ও আর্থিক খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন।
উল্লেখ্য, অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত ১৯৫৪ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়া শহরে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে আবুল বারকাত সশস্ত্র প্রশিক্ষণ নিয়ে অংশগ্রহণ করেন। আবুল বারকাত ১৯৭০ সালে কুষ্টিয়া জিলা স্কুল থেকে এসএসসি, ১৯৭৩ সনে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় উচ্চমান প্রথম শ্রেণীসহ উত্তীর্ণ হন। ঐ বছরই উচ্চ শিক্ষার জন্য তিনি বাংলাদেশ সরকারের মেধা বৃত্তি নিয়ে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নে যান। ১৯৭৮ সালে তিনি মস্কো ইন্সটিটিউট অব ন্যাশনাল ইকোনমি (প্লেখানত ইনস্টিটিউট খ্যাত) থেকে অর্থনীতি বিষয়ে এমএসসি-তে সকল বিষয়ে অনার্স ডিগ্রী অর্জন করেন। একই প্রতিষ্ঠান থেকে ১৯৮২ সালে উন্নয়নের রাজনৈতিক-অর্থনীতি বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন।দীর্ঘ একাডেমিক ও গবেষণামূলক জীবনে অধ্যাপক বারকাত বহু গবেষণাকর্ম, বই এবং সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে অবদান রেখেছেন। জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালনকালে ব্যাংকিং খাতেও তার প্রভাবশালী ভূমিকা ছিল।
এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত দুদক বা অন্য কোনো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি প্রদান করা হয়নি।
বিজ্ঞাপন