Sorry, you have been blocked

You are unable to access thailand-u31.com

Why have I been blocked?

This website is using a security service to protect itself from online attacks. The action you just performed triggered the security solution. There are several actions that could trigger this block including submitting a certain word or phrase, a SQL command or malformed data.

What can I do to resolve this?

You can email the site owner to let them know you were blocked. Please include what you were doing when this page came up and the Cloudflare Ray ID found at the bottom of this page.

মঙ্গলে কি সত্যিই ছিল প্রাণ? নাসার রোভার জানাচ্ছে চমকপ্রদ তথ্য

মঙ্গলে কি সত্যিই ছিল প্রাণ? নাসার রোভার জানাচ্ছে চমকপ্রদ তথ্য

মঙ্গলে কি সত্যিই ছিল প্রাণ? নাসার রোভার জানাচ্ছে চমকপ্রদ তথ্য

অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি
অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি

প্রকাশিত: ১২:০৪ ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রাতের আকাশের অসংখ্য তারার দিকে তাকিয়ে মানুষ বহু শতাব্দী ধরে এক প্রশ্ন করে আসছে—আমরা কি সত্যিই একা? মহাবিশ্বের কোথাও কি আরেক প্রজাতির প্রাণ আছে, যারা আমাদের মতোই খুঁজে বেড়াচ্ছে উত্তর? কল্পনার গণ্ডি পেরিয়ে এখন বিজ্ঞানীরা বাস্তব অনুসন্ধানে নামছেন। সৌরজগতের ভেতরেই কোথাও প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে কি না, তা জানার জন্য একের পর এক মহাকাশ মিশন চলছে।

মঙ্গল: একসময় কি ছিল প্রাণের চিহ্ন?

বর্তমান মঙ্গল শুষ্ক ও বরফঠাণ্ডা এক মরুভূমি। তবে নাসার রোভারগুলো জানিয়েছে—অতীতে এই গ্রহে তরল পানি ছিল। আর পানি মানেই জীবনের সম্ভাবনা। কিউরিওসিটি ও পারসিভারিয়েন্স রোভার মঙ্গলের মাটি ও শিলার নমুনা সংগ্রহ করছে। এগুলো ভবিষ্যতে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা হবে ‘মার্স স্যাম্পল রিটার্ন’ মিশনের মাধ্যমে।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ফ্লোরিডার অধ্যাপক ও নাসার গবেষক অ্যামি উইলিয়ামস বলেন, “আমরা খুঁজছি, অতীতে মঙ্গলের পরিবেশ কি অণুজীবের টিকে থাকার মতো উপযুক্ত ছিল।”

শুক্র: চরম বৈরী পরিবেশের মধ্যেও সম্ভাবনা

শুক্রকে পৃথিবীর যমজ বলা হলেও এর পৃষ্ঠ এতটাই উষ্ণ ও চাপপ্রবণ যে প্রাণ টিকে থাকা প্রায় অসম্ভব। আবার আকাশজুড়ে সালফিউরিক অ্যাসিডের ঘন মেঘ। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, শুক্রের উপরের বায়ুমণ্ডলে কিছু জায়গা তুলনামূলক সহনীয়, যেখানে চরম পরিবেশপ্রিয় অণুজীব থাকতে পারে।
এমআইটির নেতৃত্বে ‘মর্নিং স্টার’ মিশন শুক্রের মেঘ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনবে। ২০২০ সালে শুক্রের মেঘে ফসফিন গ্যাস শনাক্তের দাবি হয়েছিল, যা জীবনধারণের সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেয়। যদিও এ নিয়ে বিতর্ক রয়েছে, নতুন মিশন সেই প্রশ্নের উত্তর দেবে।

এনসেলাডাস ও ইউরোপা: বরফের নিচে মহাসাগর

শনির উপগ্রহ এনসেলাডাস ও বৃহস্পতির উপগ্রহ ইউরোপা—দুই উপগ্রহেই পুরু বরফের নিচে বিশাল মহাসাগরের প্রমাণ মিলেছে। এনসেলাডাসের ফোয়ারা থেকে লবণাক্ত পানির নমুনা সংগ্রহ করেছে ক্যাসিনি মিশন। সেখানে জীবনের জন্য জরুরি রাসায়নিক উপাদান ফসফেটও পাওয়া গেছে।
অন্যদিকে ইউরোপার ভেতরের মহাকর্ষীয় টান মহাসাগরকে তরল রাখে, যা পৃথিবীর গভীর সমুদ্রের মতো পরিবেশ সৃষ্টি করে। ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার জুপিটার আইসি মুনস এক্সপ্লোরার ও নাসার ইউরোপা ক্লিপার মিশন আগামী দশকে সেখানে নতুন তথ্য নিয়ে আসবে।

টাইটান ও সেরেস: সম্ভাবনার নতুন দুয়ার

শনির উপগ্রহ টাইটানকে বলা হয় সৌরজগতের অন্যতম রহস্যময় জগৎ। এখানে নাইট্রোজেন ও মিথেনসমৃদ্ধ ঘন বায়ুমণ্ডল এবং মিথেন চক্র রয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এখানকার রাসায়নিক পরিবেশ জীবনের ভিত্তি গড়ে তুলতে পারে। নাসা একটি অক্টোকপ্টার মিশন পাঠানোর পরিকল্পনা করছে, যা টাইটানের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে নমুনা সংগ্রহ করবে।
অন্যদিকে ছোট বামন গ্রহ সেরেসের বরফমোড়া পৃষ্ঠের নিচেও তরল পানির সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে, যা জীবনের অস্তিত্বের দ্বার খুলে দিতে পারে।

বিজ্ঞানীদের অভিমত

একাধিক গ্রহ ও উপগ্রহে সম্ভাব্য জীবনের পরিবেশ চিহ্নিত হলেও এখনো এর কোনো সরাসরি প্রমাণ মেলেনি। বিজ্ঞানীদের মতে, যদি প্রাণ থেকে থাকে, তবে তা অণুজীবের মতো সরল জীব হবে। তারা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে সক্ষম নয়। তাই মানবজাতিকেই এগিয়ে যেতে হবে এই অনুসন্ধানে।

বিজ্ঞাপন

https://moreshopbd.com/