বৃহস্পতিবার , ২১ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ০৮:৫২ ২৬ আগস্ট ২০২৪
বন্যায় প্লাবিত এলাকাগুলো থেকে পানি খানিকটা নামতে শুরু করলেও মানুষের দুর্ভোগ কমেনি। আক্রান্ত এলাকায় এখনো আটকে আছেন অসংখ্য মানুষ। অনেকের ঠাঁই হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্র ও উঁচু এলাকার খোলা আকাশের নিচে। দেশের এমন বিপর্যয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, অভিনেতা-অভিনেত্রী, ইউটিউবার, ইনফ্লুয়েন্সারসহ সংগীত শিল্পীরাও। এই তালিকায় আছেন ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ ধারাবাহিক নাটকের ব্যাচেলর ‘কাবিলা’ খ্যাত জিয়াউল হক পলাশও।
মানুষের সুখ-দুঃখে সবসময়ই পাশে থাকার চেষ্টা করেন পলাশ। তার রয়েছে ‘ডাকবাক্স’ নামে একটি ফাউন্ডেশন। যখনই প্রয়োজন পড়ে সারাদেশের ভলান্টিয়ারের মাধ্যমে তিনি সহযোগিতা করেন। অনেকটা নীরবে-নিভৃতে কাজ করছে এই ফাউন্ডেশনটি। বন্যাদুর্গত এলাকায় পলাশের ডাকবক্সের ২৭ জন ভলান্টিয়ার কাজ করছেন।
রোববার (২৫ আগস্ট) একটি সংবাদমাধ্যমে পলাশ বলেন, ত্রাণ হিসেবে সবাই শুকনো খাবার দিচ্ছে। আমি একটু ভিন্নভাবে চিন্তা করে পাশে রয়েছি। একটি স্থানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নভাবে রান্না করে সেই খাবার আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাচ্ছি বন্যার্তদের জন্য। হাজারের কাছাকাছি মানুষকে নিজেরা রান্না করে খাইয়েছি। আগামী তিন দিন এভাবে চলবে। এর আগে আমার ভলান্টিয়াররা ফেনীতে ছিল, রোববার থেকে নোয়াখালীতে তারা কাজ করছে।
বন্যা পরবর্তী কাজ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বন্যা পরবর্তীতে পুনর্বাসনে সচেতন হওয়া জরুরি। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর রোগবালাই বেশি ছড়ায়। স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে থাকে নারী এবং শিশুরা। সে বিষয়েও আমি ভাবছি। বন্যা পরবর্তীতেও আমি এবং আমার টিম সক্রিয় থাকব।
এ অভিনেতা আরও জানান, খুব বেশি মানুষ তার এই ‘ডাকবাক্স ফাউন্ডেশন’ এর কথা জানেন না। তাই যেসব কার্যক্রম চলে ৮০ শতাংশের অর্থায়ন তিনি নিজেই করেন। তবে পরিচিত কেউ যদি স্বেচ্ছায় ডোনেশন দেন তাহলে সেটা গ্রহণ করা হয় বলেও জানান পলাশ।
বিজ্ঞাপন