বুধবার , ২৭ নভেম্বর, ২০২৪ | ১৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১০:০৯ ২৬ নভেম্বর ২০২৪
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) দুই দিনব্যাপী ‘লেখা প্রদর্শনী’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে "বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, ইবি শাখা" এ আয়োজন করেছে। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বেলা ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় আয়োজিত এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।
প্রদর্শনীর আয়োজন
প্রর্দশনীতে জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও শহীদের নিয়ে লেখাসহ তরুণ লেখকদের বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত প্রায় শতাধিক লেখা প্রদর্শন করা হয়। এছাড়াও ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সমস্যা ও প্রত্যাশা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের নিকট পৌঁছে দিতে 'মনের জানালা', উন্মুক্ত কুইজ প্রতিযোগিতা ও সংগঠনটির দ্বিমাসিক প্রকাশনা ডাকঘরের জন্য উন্মুক্ত লেখা আহ্বানসহ বুদ্ধিবৃত্তিক ও সৃষ্টিশীল কর্মসূচির আয়োজন করেছে সংগঠনটি।
সংগঠনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলাকে বিভিন্ন ধরণের কারুকার্যের মাধ্যমে সাজিয়ে তুলেছেন। লেখা প্রদর্শনীকে কেন্দ্র করে বটতলায় উৎসবমুখর পরিবেশে বিরাজ করছে। স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা এই প্রদর্শনীতে অংশ নিচ্ছেন।
- উপস্থিত অতিথিবৃন্দ
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন:
- ডিন কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. আ.ব.ম ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী।
- প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান।
- ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম।
- বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান।
- আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. খন্দকার তৌহিদুল আনাম।
- সংগঠনের সভাপতি খায়রুজ্জামান খান সানি ও সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।
- সংগঠনের ভূমিকা ও মন্তব্য
সংগঠনের সভাপতি খায়রুজ্জামান খান সানি বলেন,
“ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং নবীন শিক্ষার্থীদের লেখালেখিতে উদ্বুদ্ধ করার জন্য এই আয়োজন। আমরা বুদ্ধিভিত্তিক চর্চার মাধ্যমে সুন্দর সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছি এবং শিক্ষার্থীদের বইমুখী করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।”
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ তরুণ লেখকদের প্রশংসা করে বলেন,
“লেখালেখি সমাজের অসঙ্গতি তুলে ধরার গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। শিক্ষার্থীদের এমন সৃষ্টিশীল কাজ আগামীতে আরও বাড়বে বলে আমি আশা করি।”
বিশেষত্ব
২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত "বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, "ইবি শাখা" শুধু লেখালেখি নয়, সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজেও সক্রিয়। এই শাখাটি টানা "পাঁচবার বর্ষসেরা শাখা" নির্বাচিত হয়েছে, যা তাদের ধারাবাহিক সাফল্যের প্রমাণ।
এই আয়োজন তরুণদের বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ ও সৃষ্টিশীল কর্মকাণ্ডে উদ্বুদ্ধ করার একটি সফল প্রচেষ্টা। এটি শুধু ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় নয়, সারাদেশে তরুণ সমাজের মধ্যে লেখালেখি ও সৃজনশীল চর্চার প্রতি আগ্রহ বাড়াতে ভূমিকা রাখবে।
বিজ্ঞাপন