বৃহস্পতিবার , ২১ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ০৮:১৩ ১৭ নভেম্বর ২০২৪
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের ১০০তম দিন উপলক্ষ্যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ‘জুলাই বিপ্লবের সাফল্য ও সীমাবদ্ধতা’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক চত্বরে এর আয়োজন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এতে বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।
সরকার পতনের শততম দিন উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে এ সভার আয়োজন করা হয়। সভায় সহ-সমন্বয়ক তানভীর মাহমুদ মন্ডল সভার সঞ্চালনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবির সমন্বয়ক এস এম সুইট, সহ-সমন্বয়ক নাহিদ হাসান, ইয়াশিরুল কবির সৌরভ, গোলাম রাব্বানীসহ অন্য সহ-সমন্বয়করা বক্তব্য রাখেন।
সভায় বক্তারা বলেন, জুলাই অভ্যুত্থান শুধু একটি সরকার পরিবর্তনের জন্য ছিল না। এটি ছিল পুরো পদ্ধতির পরিবর্তনের জন্য। যদি সেটি বাস্তবায়ন না হয় তাহলে এই অভ্যুত্থানের সাফল্য আসবে না। আমরা অভ্যুত্থানের পর মন খুলে কথা বলতে পারছি। এটিই উল্লেখ করার মতো প্রাপ্তি। এখনো রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থার সংস্কার হয়নি। অন্তবর্তীকালীন সরকারের যেভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ছিল তারা সেটি বাস্তবায়ন করতে পারছেন না। আমরা দাবি জানাচ্ছি জুলাই বিপ্লবের স্পিরিটকে ধারণ করে রাষ্ট্র ব্যবস্থা সংস্কারে মনোযোগী হতে হবে। নয়তো ছাত্র জনতা যেভাবে রাজপথে নেমে এসেছিল আগামীতেও তারা পথ ছাড়বে না।
তারা আরও বলেন, আমরা চেয়েছিলাম বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক সংগঠনের কাছে জিম্মি হয়ে থাকার সংস্কৃতি পুরোপুরি বন্ধ হবে। কিন্তু আমরা দেখছি এখনও আবার সেই সংস্কৃতি ফিরে আসছে। এটি কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায়না। এ বিষয়গুলোতে আমাদের সচেতন থাকতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোকে মনে হচ্ছে তারা নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছে। এটি কোনভাবেই প্রত্যাশিত নয়। আমরা সবাইকে অনুরোধ করবো যেভাব ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করেছি সেভাবেই যেন আগামীদিনের রাষ্ট্র সংস্কারেও ঐক্যবদ্ধ থাকি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবির সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, 'বিপ্লব পরবর্তী সময়ে আমরা এখনও লক্ষ্য করছি এই আন্দোলনে আহত-নিহতদের পরিবার ঠিকমতো সাহায্য সহযোগিতা পাচ্ছে না। অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, দ্রুতই এসকল পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য। জুলাই আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকেই এখনও বহাল তবিয়তে তাদের কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছে। এই প্রশাসন এখনও পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।' এসময় জুলাই বিপ্লবের বিরোধিতাকারীদের বিচারের আওতায় আনার দাবিও জানান তিনি৷
এর আগে দুই দিনব্যপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে শুক্রবার ছাত্র জনতার আন্দোলনে নিহত কুষ্টিয়ার শহীদ ওসামার কবর জিয়ারত করেন ইবির বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা। দহকুলা জামে মসজিদে জুম্মার নামায শেষে ওসামার আত্মার শান্তি কামনায় মুসল্লীদের মাঝে খাবার বিতরণ শেষে কবর জিয়ারত করেন তারা। পরে ক্যাম্পাসে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করেন।
বিজ্ঞাপন