বৃহস্পতিবার , ২১ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১২:১৮ ৭ নভেম্বর ২০২৪
গতকাল বেলা ১১টায় বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার জি ব্লকে বায়তুল জান্নাত জামে মসজিদ কমপ্লেক্স নির্মাণকাজের শুভ উদ্বোধন করা হয়।
কোরআনের আদলে নকশাকৃত এই মসজিদ উদ্বোধন করেন বসুন্ধরা গ্রুপের উপদেষ্টা (প্রেস অ্যান্ড মিডিয়া) মো. আবু তৈয়ব।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন খতিব শায়খ কাসেম শরীফ এবং দোয়া পরিচালনা করেন উক্ত মসজিদের ইমাম মুফতি আয়াতুল ইসলাম।
এতে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি মো. মোস্তফা হোসেন, সিনিয়র সহসভাপতি মেসবাহ উদ্দীন মামুন, সহসভাপতি মেহেদী হাসান শামিম, সেক্রেটারি ফিরোজ খান, সহ-সেক্রেটারি হুমায়ুন কবির, কোষাধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান বাদলসহ কমিটির সদস্য ও ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।
সভাপতি মোস্তফা হোসেন বলেন, ‘বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার প্রায় প্রতিটি ব্লকে মসজিদের ব্যবস্থা থাকলেও জি ব্লকে একসময় মসজিদ ছিল না। আমরা এলাকাবাসীর অনুদানে এখানে তিন কাঠা জমির ওপর একটি মসজিদ নির্মাণ করি। পরে বসুন্ধরা গ্রুপের মাননীয় চেয়ারম্যান পর্যায়ক্রমে এর সংলগ্ন আরো ১৫ কাঠা জমি দান করেন। বর্তমানে ১৮ কাঠার ওপর সাততলা মসজিদ কমপ্লেক্স নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। আমরা বসুন্ধরা গ্রুপের মাননীয় চেয়ারম্যানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। মহান আল্লাহ তাঁকে সর্বোত্তম প্রতিদান দান করুন।’
মসজিদ কমপ্লেক্সের সিনিয়র সহসভাপতি মেসবাহ উদ্দীন মামুন বলেন, ‘শুরু থেকেই আমরা এই মসজিদে বহুমুখী ইবাদতের অনুকূল পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করেছি। এখানে সাপ্তাহিক বিষয়ভিত্তিক বয়ান, প্রতিদিন বাদ ফজর কোরআনের তাফসির, শিশু ও বয়স্কদের জন্য ফ্রি কোরআন শিক্ষা কোর্স, লাশ গোসল, রমজানে ইফতার, শীতবস্ত্র বিতরণ, গরিব মানুষের জন্য চিকিৎসা সেবাসহ বহুমুখী কার্যক্রম এখানে পরিচালিত হচ্ছে। ভবিষ্যতে আমরা সর্বাধুনিক সুবিধাসহ মসজিদ কমপ্লেক্সের কাজ এগিয়ে নিতে চাই।’
কোষাধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান বাদল বলেন, ‘কোরআনিক ফ্রেমের আদলে গড়া এই মসজিদ কমপ্লেক্সে প্রায় একসঙ্গে সাত হাজার মানুষ নামাজ পড়তে পারবেন। এর আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২৫ কোটি টাকা। বসুন্ধরা গ্রুপের সার্বিক সহযোগিতা ও স্থানীয় মুসল্লিদের অর্থায়নে এই কমপ্লেক্স নির্মিত হচ্ছে।’
উল্লেখ্য যে ২৪ মে ২০১৯ তিন কাঠা জমিতে এই মসজিদের সূচনা হয়।
তিন দিকে রাস্তাঘেরা এই মসজিদের পূর্ব পাশে ৬০ ফিট রাস্তা আছে। বর্তমানে প্রতি জুমায় এখানে সাত থেকে আট হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করে থাকেন।
বিজ্ঞাপন