ডাকসুতে শিবিরের নতুন ইতিহাস: কোনো পদেই জয়ী হয়নি ছাত্রদল!

ডাকসুতে শিবিরের নতুন ইতিহাস: কোনো পদেই জয়ী হয়নি ছাত্রদল!

অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি
অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি

প্রকাশিত: ০৭:৪৮ ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন মোহাম্মদ আবু সাদিক, যিনি পরিচিত সাদিক কায়েম নামে। তিনি নির্বাচিত হয়েছেন নতুন সহ-সভাপতি (ভিপি) হিসেবে। ইসলামী ছাত্রশিবির-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট থেকে প্রার্থী হয়ে তিনি বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছেন। ২০২৫ সালের ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সাদিক কায়েম ১৪,০৪২ ভোট পেয়ে ভিপি পদে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবিদুল ইসলাম খান (ছাত্রদল সমর্থিত) পেয়েছিলেন মাত্র ৫,৭০৮ ভোট। এই বিপুল জয় ছাত্র রাজনীতিতে নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফলের ভিত্তিতে মোট ২৮টি পদে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে ১২টি সম্পাদকীয় পদ এবং ১৩টি সদস্যপদ রয়েছে। নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থীরা ১৯টি পদে জয়ী হয়েছেন, যা মোট পদ সংখ্যার প্রায় ৬৮%। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৯টি পদে জয়ী হয়েছেন এবং ছাত্রদল সমর্থিত কোনো প্যানেলের প্রার্থী কোনো পদে জয়ী হননি।

সম্পাদকীয় পদগুলোতে জয়ী প্রার্থীরা হলেন—সহ-সভাপতি পদে মো. আবু সাদিক কায়েম, সাধারণ সম্পাদক পদে এস এম ফরহাদ, সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে মুহা. মহিউদ্দীন খান, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক ফাতেমা তাসনিম জুমা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইকবাল হায়দার, কমন রুম, রিডিং রুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক উম্মে ছালমা, আন্তর্জাতিক সম্পাদক জসীম উদ্দিন খান। সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক সানজিদা আহমেদ তন্বি, ক্রীড়া সম্পাদক আরমান হোসেন, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক আসিফ আব্দুল্লাহ, সমাজসেবা সম্পাদক যুবাইর বিন নেছারী, ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক এম এম আল মিনহাজ এবং মানবাধিকার ও আইন বিষয়ক সম্পাদক মো. জাকারিয়া।

উল্লেখযোগ্য যে, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক, গবেষণা ও প্রকাশনা, এবং সমাজসেবা সম্পাদকীয় পদে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। বাকি সম্পাদকীয় পদগুলোতে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন।

এই ফলাফল ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের জন্য একটি ঐতিহাসিক বিজয় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এটি তাদের ক্যাম্পাস রাজনীতিতে নতুন শক্তি ও প্রভাব প্রতিষ্ঠা করেছে এবং শিক্ষার্থী সমাজে নতুন নেতৃত্ব ও প্রেরণার সূচনা করেছে।
 

বিজ্ঞাপন