বুধবার , ১৪ মে, ২০২৫ | ৩১ বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ০৯:২৫ ১৪ মে ২০২৫
সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় তিন বছরের সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন। একইসঙ্গে তার দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে করা আপিল গ্রহণ করেছে আদালত। বুধবার (১৪ মে) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে জোবাইদা রহমানের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। তাদের সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম, মাকসুদ উল্লাহ এবং জাকির হোসেন।
এর আগে মঙ্গলবার (১৩ মে) জোবাইদা রহমানের দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করতে বিলম্ব হওয়ায় হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে বিচারপতি খসরুজ্জামানের বেঞ্চ ৫৮৭ দিনের বিলম্ব মার্জনা করে আপিল গ্রহণ করেন। এরপরই বুধবার তার জামিন মঞ্জুর করা হয়।
২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ঢাকার কাফরুল থানায় তারেক রহমান, তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান এবং তার মা সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে। মামলার বিচার শেষে ২০২৩ সালের ২ আগস্ট ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের তৎকালীন বিচারক মো. আছাদুজ্জামান রায় ঘোষণা করেন। রায়ে, তারেক রহমানকে দুদক আইনের ২৬(২) ধারায় ৩ বছর এবং ২৭(১) ধারায় ৬ বছরসহ মোট ৯ বছরের কারাদণ্ড ও ৩ কোটি টাকা জরিমানা এবং জোবাইদা রহমানকে ২৭(১) ধারায় ৩ বছরের কারাদণ্ড ও ৩৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
এদিকে ২০২৪ সালের ১০ অক্টোবর তারিখে বাংলাদেশ গেজেটে প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, আইন ও বিচার বিভাগের মতামতের আলোকে আদালতে আপিল দায়েরের সুযোগ দিতে ডা. জোবাইদা রহমানের সাজা এক বছরের জন্য বিনাশর্তে স্থগিত করা হয়েছে। এই প্রজ্ঞাপন কার্যকর হয় ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখ থেকে।
দীর্ঘ ১৭ বছর যুক্তরাজ্যে অবস্থান করার পর চলতি বছরের ৬ মে দেশে ফেরেন জোবাইদা রহমান। দেশে ফিরে তিনি আদালতে হাজির হয়ে আপিল ও জামিন আবেদন করেন। আদালতের আদেশে আপাতত তিনি জামিনে মুক্ত থাকছেন এবং মামলাটির পরবর্তী শুনানি এখন আপিল আদালতের ওপর নির্ভর করছে।
বিজ্ঞাপন