সাভারে ছাত্রদল নেতাকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ

সাভারে ছাত্রদল নেতাকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ

সাভার প্রতিনিধি, ঢাকা:
সাভার প্রতিনিধি, ঢাকা:

প্রকাশিত: ০১:১১ ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সাভারে  ছাত্রদল নেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে সাবেক কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে।  সকালে পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের আইচানোয়াদ্দা এলাকায়  এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায়  ছাত্রদল নেতা নাঈম খান(২৫) বাদি হয়ে সাভার মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযুক্তরা হলেন, আইচানোদ্দ এলাকার মৃত মুনসুর আলীর ছেলে সাবেক কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা  রশীদ মোল্লা (৬৫), তার ছেলে লিটু মোল্লা (৩৮), টুটুল মোল্লা (৩৬), পলাশ মোল্লা (৩২)।

অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, বিবাদীরা এলাকার চাঁদাবাজি, লুটপাট, মাদক বিক্রয়সহ কিশোরগ্যাং তাদের নেতৃত্বে পরিচালিত  হয়। এসব কর্মকান্ডে আমরা প্রতিবাদ করিলে বিবাদীরা আমাদেরকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতিসহ হুমকী দিয়া আসছে। তারই প্রেক্ষিতে আজ ১৪ সেপ্টেম্বর সকালে  আইচানোয়াদ্দায় অবস্থিত বেনহাম ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডের ভিতরে পিএম এর কক্ষে অবস্থান করিয়া উক্ত প্রতিষ্ঠানের সম্মুখে প্রতিনিয়ত বখাটে এবং কিশোর গ্যাং এর দৌরাত্ম্য বেড়ে যাওয়ার বিষয় নিয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করি।  প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ আমাদের মতামতের সহিত একমত পোষণ করেন এবং বখাটে ও কিশোর গ্যাং এর দৌরাত্মক কমানোর জন্য প্রশাসনের পাশাপাশি সকলের সহযোগিতা চান। আলোচনার শেষের দিকে ওই প্রতিষ্ঠানে অবস্থানকালীন সময়ে সেই আলোচনার বিষয় সংবাদ পেয়ে উল্লেখিত বিবাদীরাসহ অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জন বিবাদী দেশীয় মারাত্মক অস্ত্রে সঙ্গে আমি কোন কিছু বুঝে ওঠার পূর্বেই আমার উপর অতর্কিতভাবে আক্রমন করে। একপর্যায়ে বিবাদী রশীদ মোল্লার পকেটে থাকা ধারালো চাকু বাহির করিয়া উক্ত চাকু দিয়া আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার বাম পাজরে আঘাত করিয়া মারাত্মক কাটা রক্তাক্ত জখম করে। তখন বেনহাম ফার্মাসিউটিক্যাল লি: এর কর্তৃপক্ষ আমাকে বিবাদীদের কবল থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে আমি জীবন বাঁচানোর জন্য উক্ত প্রতিষ্ঠান হইতে বাইরে বের হয়ে দৌড় দিলে বিবাদীরাসহ অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জন বিবাদী আমাকে দেশীয় ধারালো অস্ত্র ছোরা, রামদা লোহার রড, লাঠি এবং চাকু নিয়া ধাওয়া করে। পথিমধ্যে পিছন দিক হইতে বিবাদী লিটু মোল্লা ও টুটুল মোল্লা লোহার রড দিয়া পিটাইয়া আমার শরীরে বিভিন্ন স্থানে ফাটা মারাত্মক ও নীলাফুলা জখম করে। এ ঘটনার সময় বিবাদী পলাশ মোল্লা আমার বন্ধু কাউসার আহমেদ কাঁকন মোল্লা কে লাঠি দিয়া পিটাইয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিলাফুলা জখন করে। উক্ত ঘটনা দেখে ও আমাদের ডাক চিৎকার শুনে আশপাশ থেকে  লোকজন এসে আমাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে  ভর্তি করে।  

এবিষয়ে বেনহাম ফার্মাসিউটিক্যালের প্লান্ট ম্যানেজার, বিদ্যুৎ কুমার সরকার বলেন, আমি নাঈমের সাথে আমার অফিসে বসে কথা বলছিলাম। এমন সময় হঠাৎ করে একজন বয়স্ক ব্যক্তি আমাদের রুমে প্রবেশ করেন। তাকে আমি বসতে বলি। এমন সময় ওই ব্যক্তি নাঈমের উপর ক্ষিপ্ত হন এবং পকেট ছুরি বের করে তাকে আক্রমণ করে। পরে আমরা নাঈম কে সেভ করি।

বিজ্ঞাপন