মঙ্গলবার , ২৯ জুলাই, ২০২৫ | ১৪ শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১১:১৫ ২৮ জুলাই ২০২৫
নির্বাচনকালীন সময়ে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ৬০ হাজার সেনা সদস্য মোতায়েন থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ সোমবার (২৮ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান। নির্বাচন উপলক্ষে বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা, যেখানে আইন-শৃঙ্খলা, গোয়েন্দা নজরদারি, ও তথ্যপ্রবাহ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
ব্রিফিংয়ে শফিকুল আলম বলেন, সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রায় ৬০ হাজার ট্রুপস নির্বাচনী দায়িত্বে থাকবে। ৫ আগস্টের পর থেকেই তারা মাঠে ডিউটিতে থাকবে এবং তাদের কাছে ম্যাজিস্ট্রেসির ক্ষমতাও থাকবে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, সেনাবাহিনী নির্বাচনকালীন সময়ে বলিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবে এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করবে।
এক প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় আরও জোরদার করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যেন নির্বাচনে কোনো রকম গোয়েন্দা দুর্বলতা না থাকে। গোয়েন্দা কার্যক্রম যাতে আরও কার্যকর হয়, সে জন্য সংশ্লিষ্টদের সচেতন থাকতে বলা হয়েছে।
পুলিশ বাহিনীর প্রস্তুতি সম্পর্কে তিনি জানান, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজি) বৈঠকে বলেছেন, আগামী সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে প্রায় দেড় লাখ পুলিশ সদস্যকে নির্বাচনকেন্দ্রিক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। নির্বাচনকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য ও মিথ্যা প্রচারণা ইতোমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে এবং তা আরও বাড়তে পারে।
এ প্রেক্ষিতে সরকার একটি ন্যাশনাল ইনফরমেশন সেন্টার গঠনের চিন্তা করছে, যেখানে এসব মিস-ইনফরমেশন চিহ্নিত ও প্রতিরোধ করা হবে। এ বিষয়ে বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলে জানান প্রেস সচিব।
বিজ্ঞাপন