রবিবার , ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ১১ ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ছবি : সংগৃহীত
প্রকাশিত: ১২:২১ ১৯ জানুয়ারী ২০২৫
বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় করা বিস্ফোরক মামলায় জামিন পেয়েছেন হত্যা মামলায় খালাসপ্রাপ্ত ও যাদের বিরুদ্ধে কোনো আপিল হয়নি এমন দুই শতাধিক আসামি। আজ রবিবার কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতর ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়ার অস্থায়ী আদালত তাদের জামিন দেন।
এর আগে বেলা ১১টার পর আদালতের বিচারকাজ শুরু হয়। পরে আসামিপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ পারভেজ সাক্ষ্যগ্রহণ পেছানোর আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর মো. বোরহান উদ্দিন সাক্ষ্য নেওয়ার প্রার্থনা করেন। পরবর্তীতে উভয়পক্ষের যুক্তি-তর্ক শেষে বেলা ১১টা ৪৭ মিনিটে আদালতে সাক্ষ্য দেন প্রত্যক্ষদর্শী মেজর সৈয়দ মো. ইউসুফ।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। ওই ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। হত্যা মামলায় খালাস বা সাজাভোগ শেষে বিস্ফোরক মামলার কারণে ৪৬৮ জনের মুক্তি আটকে ছিল।
হত্যা মামলায় ৮৫০ জনের বিচার ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর শেষ হয়। এতে ১৫২ জনের ফাঁসি ছাড়াও ১৬০ জনের যাবজ্জীবন ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়া ২৭৮ জন খালাস পান।
২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর হাইকোর্টে ওই মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের রায় দেন। রায়ে ১৩৯ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়, ১৮৫ জনকে যাবজ্জীবন ও ২২৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়। পাশাপাশি ২৮৩ জন খালাস পান।
তবে হাইকোর্টের রায়ের আগে ১৫ জনসহ সব মিলিয়ে ৫৪ জন আসামি মারা গেছেন। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ২২৬ জন আসামি আপিল ও লিভ টু আপিল করেছেন। রাষ্ট্রপক্ষও ৮৩ জন আসামির খালাস ও সাজা কমানোর রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেছে। এসব আপিল ও লিভ টু আপিল এখন শুনানির অপেক্ষায়।
এদিকে, বিস্ফোরক আইনের মামলায় ৮৩৪ জন আসামির বিরুদ্ধে বিচারকাজ শুরু হয় ২০১০ সালে, তবে মাঝপথে বিস্ফোরক মামলার কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায় এবং শুধু হত্যা মামলার সাক্ষ্য উপস্থাপন করা হয়, যার ফলে মামলার বিচার ঝুলে পড়ে।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার পুনঃতদন্ত শুরুর দাবি উঠেছে। ১৯ ডিসেম্বর শহিদ পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যান। ২৪ ডিসেম্বর সরকারের পক্ষ থেকে আ ল ম ফজলুর রহমানকে প্রধান করে ৯০ দিনের সময় বেঁধে তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়।
বিজ্ঞাপন