বৃহস্পতিবার , ২১ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ০৭:২০ ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত যুবকের পরিচয় পাওয়া গেছে। নিহত এই ছেলেটির নাম তোফাজ্জল হোসেন। সে বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার কাঁঠালতলী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি। এই ছেলেটি বেশ স্বজ্জন, পরোপকারী ও নেতৃত্বগুন সম্পন্ন ছাত্রনেতা ছিল। ব্যক্তিগত জীবনে প্রেম সংক্রান্ত একটি বিষয় নিয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় প্রথমে কিছুটা মানসিক ভারসাম্য হারায়। এর কিছুদিনের মধ্যে খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে তোফাজ্জলের মা, বাবা ও একমাত্র বড় ভাই মারা যান। তোফাজ্জল পরিবার ও অবিভাবক শুন্য হয়ে পুরোপুরি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে গত ৩-৪ বছর ধরে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভবঘুরে হয়ে ঘুরতেছিলো আজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএম হলের মেধাবীরা তাকে নির্মম নৃসংভাবে হত্যা করেছে।
একজন মানষিক ভারসাম্যহীন মানুষকে হত্যা করার আগে খু নিরা তাকে সার্কাস দেখার মত করে ভাত খেতে দেয়। ভাত খাইয়ে, দলবল বেঁধে মেধার প্রতিফলন ঘটিয়ে এই ছেলেকে তারা উল্লাস করতে করতে পিটিয়ে মেরে ফেলে। তাদের আজকের দিনটা নিশ্চই বেশ ভালো যাবে, আরো এক্টাকে শেষ করা গেছে ভেবে।
ইমরান বলেন, ‘২ ঘণ্টার মধ্যে ফেসবুকে দেখি তোফাজ্জল এফএইচ হলের শিক্ষার্থীদের নির্মম নির্যাতনে মারা গিয়েছে। আহা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়! ছাত্র নামধারী বিবেকহীন নরপিশাচদের জন্য একটি নিরপরাধ প্রাণ চলে গেলো, আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কলঙ্কিত হলো!’
তিনি হত্যার ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়ায় লড়ার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘তোফাজ্জল হত্যার বিচার চাওয়ার মতো ওর পরিবারে অবশিষ্ট আর কেউ নেই। তবে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হলে আমি ব্যক্তিগতভাবে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বিচার নিশ্চিত করতে আইনি প্রক্রিয়ায় লড়বো।’
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দায়ীদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে এবং হলের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়ের করা হবে।
বিজ্ঞাপন