রবিবার , ২৭ জুলাই, ২০২৫ | ১২ শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ০৩:৪৮ ২৭ জুলাই ২০২৫
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়াকে চলমান যুদ্ধ বন্ধ করতে আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দুই দেশের নেতাদের সঙ্গে আলোচনার পর উভয় পক্ষ শান্তি আলোচনায় বসতে সম্মত হয়েছে বলেও জানান তিনি।
রোববার (২৭ জুলাই) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়, থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সীমান্ত সংঘাত বন্ধে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান ট্রাম্প। স্কটল্যান্ডে ব্যক্তিগত গলফ রিসোর্ট সফরের শুরুতে তিনি 'ট্রুথ সোশ্যাল' প্ল্যাটফর্মে লেখেন,
“উভয় দেশ যুদ্ধবিরতি ও স্থায়ী শান্তির লক্ষ্যে দ্রুত আলোচনায় বসতে সম্মত হয়েছে।”
থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাই যুদ্ধবিরতিতে সম্মতির বিষয়টি নিশ্চিত করলেও জানান, "কম্বোডিয়ার পক্ষ থেকে আন্তরিকতার প্রমাণ দেখতে চায় থাইল্যান্ড।"
প্রসঙ্গত, গত ২৪ জুলাই সীমান্তে সংঘর্ষ শুরু হলে কমপক্ষে ৩৩ জন নিহত ও হাজারো মানুষ বাস্তুচ্যুত হন। ট্রাম্প বলেন, "সংঘর্ষ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা চালিয়ে যেতে পারবে না।"
এদিকে, আগামী ১ আগস্ট থেকে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া থেকে আমদানিকৃত পণ্যে ৩৬ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে ট্রাম্পের এই বিবৃতি কূটনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছে। যদিও থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিস সাঙ্গিয়ামপংসা একদিন আগেই জানিয়েছিলেন, “এখনই তৃতীয় কোনো দেশের মধ্যস্থতার প্রয়োজন নেই।”
এর আগে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম দ্বিপক্ষীয় এই সংকট নিরসনে মধ্যস্থতার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন।
উল্লেখ্য, দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত বিরোধ ফরাসি উপনিবেশিক আমলের পর থেকেই বিদ্যমান, বিশেষ করে একটি খেমার-হিন্দু মন্দির ঘিরে উভয় দেশের সেনাদের মধ্যে উত্তেজনা দীর্ঘদিনের।
উভয় দেশই পরস্পরকে সংঘর্ষের জন্য দায়ী করেছে—থাই সেনাবাহিনীর দাবি, কম্বোডিয়ার ড্রোন নজরদারির মাধ্যমে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়; অন্যদিকে, কম্বোডিয়ার অভিযোগ, থাই সেনারা পুরোনো চুক্তি লঙ্ঘন করে মন্দির এলাকায় অগ্রসর হয়েছে।
ট্রাম্প বলেন, "যখন শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে, তখন আমি উভয় দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন করার অপেক্ষায় আছি।"
সংঘাত বন্ধে ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
বিজ্ঞাপন