সোমবার , ১৬ জুন, ২০২৫ | ২ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১০:৫৮ ১৫ জুন ২০২৫
তেহরানের ঘনিষ্ঠ মিত্র ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলের বাণিজ্যিক রাজধানী তেল আবিবে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী। এই হামলাকে মধ্যপ্রাচ্যের উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে এক নতুন মোড় হিসেবে বিবেচনা করছেন বিশ্লেষকরা।
রোববার (১৫ জুন) ভোরের দিকে এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছেন ইয়েমেনি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি। তিনি জানান, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সশস্ত্র বাহিনী ও ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি)-এর সঙ্গে সমন্বয় করে এই অপারেশনটি পরিচালিত হয়েছে।
ইয়াহিয়া সারি জানান, ভোরে চালানো অভিযানে হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ইসরায়েলের দখলকৃত তেল আবিবের একটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনাকে সফলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হয়েছে। এটি ছিল ইয়েমেনি বাহিনীর পক্ষ থেকে নতুন ধরনের সামরিক প্রতিক্রিয়া।
তিনি আরও বলেন, ইয়েমেনের বিভিন্ন ক্ষেপণাস্ত্র ইউনিট থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইসরায়েলের দখলকৃত ইয়াফা অঞ্চলে ‘ফিলিস্তিন-২’ নামের একাধিক হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হবে। এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো শত্রু পক্ষের সামরিক ঘাঁটি, কমান্ড সেন্টার এবং কৌশলগত স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করে ছোঁড়া হবে।
ইয়েমেনি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, গাজায় ইসরায়েলের সাম্প্রতিক আগ্রাসনের প্রতিবাদে এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতিরোধ আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে এই হামলা চালানো হয়েছে। ইয়াহিয়া সারি বলেন, গাজায় অবরোধ ও হামলা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত ইয়েমেন তার সামরিক সমর্থন অব্যাহত রাখবে।
এই হামলার ব্যাপারে এখনো ইসরায়েল কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি। তবে দেশটির সেনাবাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রাখা হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইরান, হিজবুল্লাহ এবং ইয়েমেনি হুথিদের মধ্যে একটি কার্যকরী সামরিক সমন্বয় এখন বাস্তবে পরিণত হচ্ছে। ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধকে কেন্দ্র করে পুরো মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে উত্তেজনা নতুন মাত্রা নিচ্ছে, এবং এই হামলা তারই বহিঃপ্রকাশ।
বিজ্ঞাপন