পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় দিশেহারা হয়ে পড়ে ভারত: সিএনএন

পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় দিশেহারা হয়ে পড়ে ভারত: সিএনএন

অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি
অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি

প্রকাশিত: ০৮:৪১ ১১ মে ২০২৫

দীর্ঘ কয়েকদিন ধরে চলতে থাকা সংঘাতের পর অবশেষে ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির পথে অগ্রসর হয়েছে। সংঘর্ষ যখন চরমে পৌঁছানোর পথে, তখন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় শান্তির উদ্যোগ নেয় উভয় পক্ষ। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানায়, পাকিস্তানের পাল্টা হামলার মাত্রা দেখে ভারত হতবাক হয়ে পড়ে এবং শান্তিপূর্ণ আলোচনায় আন্তরিকভাবে অংশ নেয়।

সিএনএনের শনিবার (১০ মে) প্রকাশিত লাইভ আপডেট অনুসারে, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতির নেপথ্যে যুক্তরাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। পাকিস্তান সরকারের একটি উচ্চপর্যায়ের সূত্র সিএনএনকে জানান, যুদ্ধ পরিস্থিতি যখন হাতের বাইরে চলে যাওয়ার উপক্রম হয়, তখনই আলোচনা প্রক্রিয়া জোরদার হয়।

সূত্রটি আরও জানায়, শান্তিচুক্তির পথে অগ্রসর হওয়ার মধ্যেই ভারত শনিবার ভোরে পাকিস্তানের তিনটি বিমানঘাঁটিতে আকাশ থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এতে ইসলামাবাদ বিস্মিত হয়, কারণ তারা মনে করেছিল আলোচনা প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। ভারতের এই আকস্মিক হামলার প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান ‘চোখের বদলে চোখ’ নীতিতে ভারতীয় বিমানঘাঁটি ও কাশ্মির সীমান্তের সামরিক স্থাপনায় পাল্টা হামলা চালায়।

সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানের এই জবাবি আক্রমণের মাত্রা এতটাই বিস্ময়কর ছিল যে ভারত দ্রুত আলোচনায় ফেরত আসে। যদিও তখনও ভারত কিছু রকেট হামলা চালায় এবং পাকিস্তানও পাল্টা জবাব দেয়, তবে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক তৎপরতার কারণে আলোচনা বন্ধ হয়নি।

বিশেষ করে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এই আলোচনা এগিয়ে নিতে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন বলে জানায় পাকিস্তানি সূত্রটি। এ সময় সৌদি আরব ও তুরস্কের কর্মকর্তারাও মধ্যস্থতায় সক্রিয়ভাবে অংশ নেন।

শনিবার বিকাল নাগাদ নতুন করে আর কোনও হামলার খবর পাওয়া যায়নি। বিকালের দু’ঘণ্টা পর দুই দেশ আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয়।

যদিও পাকিস্তান দাবি করছে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতা ছিল কেন্দ্রীয় ভূমিকার অধিকারী, ভারতীয় কর্মকর্তারা এ বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করেছেন। তাদের মতে, যুদ্ধবিরতি হয়েছে দু'দেশের সরাসরি আলোচনার মাধ্যমে, বাইরের প্রভাব এখানে খুব বেশি ছিল না।

এভাবে আরও কিছু আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক প্রচেষ্টা এবং পাল্টা সামরিক চাপের প্রেক্ষাপটে ভারত ও পাকিস্তান আবারও এক অনিশ্চিত যুদ্ধের দ্বারপ্রান্ত থেকে সরে এসে শান্তির পথে ফিরে এসেছে।

বিজ্ঞাপন