Sorry, you have been blocked

You are unable to access thailand-u31.com

Why have I been blocked?

This website is using a security service to protect itself from online attacks. The action you just performed triggered the security solution. There are several actions that could trigger this block including submitting a certain word or phrase, a SQL command or malformed data.

What can I do to resolve this?

You can email the site owner to let them know you were blocked. Please include what you were doing when this page came up and the Cloudflare Ray ID found at the bottom of this page.

বল এখন ভারতের কোর্টে, শান্তি চায় পাকিস্তান: ইসহাক দার

বল এখন ভারতের কোর্টে, শান্তি চায় পাকিস্তান: ইসহাক দার

বল এখন ভারতের কোর্টে, শান্তি চায় পাকিস্তান: ইসহাক দার

অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি
অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি

প্রকাশিত: ০৮:৪৬ ১০ মে ২০২৫

ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে চলমান উত্তেজনার মধ্যে এবার শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথে হেঁটেছে ইসলামাবাদ। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও উপ-প্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার বলেছেন, “বল এখন ভারতের কোর্টে।” শনিবার (১০ মে) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই মন্তব্য করেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে আলাপের সময় দার এই বার্তা দেন। তিনি জিও নিউজকে জানান, “যুদ্ধ আমাদের অগ্রাধিকার নয়। আমরা শান্তি চাই, তবে সেটা হতে হবে কোনও দেশের আধিপত্য ছাড়া।”

ইসহাক দার আরও জানান, তিনি মার্কো রুবিও, সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বেশ কয়েকজন বিশ্বনেতার সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন এবং আলোচনা ইতিবাচক ছিল। তিনি আশা প্রকাশ করেন, খুব শিগগির ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আনুষ্ঠানিক আলোচনার সূচনা হবে।

এ উত্তেজনার সূত্রপাত ২২ এপ্রিল, কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ এক সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন ভারতীয় পর্যটকের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে। ভারত এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে এবং পাল্টা কড়া পদক্ষেপ নেয়। এর মধ্যে রয়েছে সিন্দু নদীর পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করা। পাকিস্তানও জবাবে সিমলা চুক্তি স্থগিত করে এবং ভারতের জন্য নিজেদের আকাশসীমা বন্ধ ঘোষণা করে। ইসলামাবাদ ঘোষণা দেয়, সিন্দু চুক্তি স্থগিতকে তারা যুদ্ধ ঘোষণা হিসেবে বিবেচনা করছে।

এই ঘটনার পর সীমান্তে শুরু হয় প্রায় টানা ১২ রাত ধরে গোলাগুলি। উভয় দেশই একে অপরকে হামলার জন্য দায়ী করে। ৬ মে ভারত ‘অপারেশন সিন্দুর’ নামে একটি সামরিক অভিযানে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। ভারতের দাবি, এতে কমপক্ষে ১০০ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। অন্যদিকে পাকিস্তানের দাবি, ভারত ছয়টি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে ৩৮ জন বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে এবং আহত করেছে শতাধিক। পাশাপাশি তারা দাবি করে, পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে।

ভারতও অভিযোগ করে, পাকিস্তানের গোলাবর্ষণে কাশ্মীরের ভেতরে ১৫ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠলে শনিবার পাকিস্তান পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে ‘অপারেশন বানিয়ান মারসুস’ চালু করে। তারা জানায়, ভারতের পাঠানকোট, উধমপুরসহ একাধিক সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে। ভোরে শ্রীনগরে কয়েকটি বড় ধরনের বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

এই উত্তেজনার মধ্যে ভারত ও পাকিস্তান উভয়েই দাবি করেছে, শুক্রবার দিবাগত রাতে তাদের ওপর অপর দেশ থেকে হামলা চালানো হয়েছে। নিরাপত্তাজনিত কারণে উত্তর ও পশ্চিম ভারতের ৩২টি বিমানবন্দর থেকে বেসামরিক বিমান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন, পারমাণবিক শক্তিধর এই দুই দেশের মধ্যে বড় ধরনের যুদ্ধ বেধে যেতে পারে। তবে এর মাঝেই পাকিস্তান শান্তির বার্তা দিয়ে বলেছে, “বল এখন ভারতের কোর্টে।” অর্থাৎ আলোচনার দায়িত্ব এখন নয়াদিল্লির হাতে।
 

বিজ্ঞাপন

https://moreshopbd.com/