শনিবার , ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ১০ ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ছবি: সংগৃহীত
প্রকাশিত: ০৪:৩৫ ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাত বন্ধে উদ্যোগ নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরইমধ্যে রিয়াদে মার্কিন ও রুশ শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে ইউক্রেন ও ইউরোপীয় নেতাদের বাদ দিয়ে এ বৈঠক আয়োজনের ঘটনায় শুরু হয়েছে সমালোচনা।
সম্প্রতি ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সমালোচনা করেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, "ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেননি ম্যাক্রোঁ ও স্টারমার।"
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে পূর্ণ মাত্রায় হামলা চালায়। এরপর থেকেই যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সসহ পশ্চিমা মিত্ররা কিয়েভকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। তবে ট্রাম্পের সাম্প্রতিক প্রচেষ্টায় যুদ্ধ বন্ধের উদ্যোগ জোরদার হয়েছে বলে উভয় পক্ষ দাবি করেছে।
বৈঠকে ইউক্রেন ও ইউরোপের অংশগ্রহণ না থাকায় ইউরোপীয় নেতারা প্যারিসে জরুরি বৈঠকে মিলিত হন। ট্রাম্প যদিও ম্যাক্রোঁ ও স্টারমারকে সমালোচনা করেন, তবে তাদের "বন্ধু" এবং "ভালো মানুষ" বলে আখ্যা দিয়েছেন।
আগামী সপ্তাহে হোয়াইট হাউসে ম্যাক্রোঁ ও স্টারমারের সফর নির্ধারিত রয়েছে। এ সফরে ইউক্রেন পরিস্থিতি ও শান্তি প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি এক বিবৃতিতে বলেন, "শান্তি নিশ্চিত করতে ইউরোপের একত্রিত হওয়া প্রয়োজন।" তিনি ট্রাম্প প্রশাসনের সাথে খনিজ সম্পদ বিষয়ে চুক্তির ইঙ্গিতও দিয়েছেন।
জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, "জার্মানি ও ইউরোপ তাদের অবস্থানে অটল থাকবে।"
ইউক্রেন সংকটের সমাধানে ট্রাম্প প্রশাসনের ভূমিকা কতটা কার্যকর হয় তা দেখার অপেক্ষায় আন্তর্জাতিক মহল।
বিজ্ঞাপন