রবিবার , ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ১১ ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ছবি: সংগৃহীত
প্রকাশিত: ০৭:১৮ ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সম্প্রতি সৌদি আরবের ওপর চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের নেতারা। ফিলিস্তিনিদের গাজা উপত্যকা থেকে স্থায়ীভাবে বিতাড়িত করার হুমকি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। নেতানিয়াহু এমনকি ফিলিস্তিনিদের সৌদিতে স্থানান্তরের প্রস্তাব দিয়েছেন। তাদের এই বক্তব্যের পরই সৌদি আরব ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে।
দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলো একযোগে নেতানিয়াহু ও ট্রাম্পের সমালোচনা করছে। সৌদি সরকারের পক্ষ থেকেও কঠোর ভাষায় বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে, সৌদির অবস্থান আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে, যখন ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের প্রতি তাদের মনোভাবেও পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। সৌদি, যাদের কাছে হামাস শত্রু এবং সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে পরিচিত, তাদের প্রতি সুর কিছুটা নরম করেছে।
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম "দ্য নিউ আরব" এক প্রতিবেদনে জানায়, সৌদি সংবাদমাধ্যম এখন সরাসরি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে, যা আগে কখনও দেখা যায়নি। সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, নেতানিয়াহুর প্রস্তাব উগ্রবাদী চিন্তাধারার প্রতিফলন, এবং তারা ফিলিস্তিনিদের অধিকারকে পুরোপুরি অস্বীকার করছে।
আল-ইখবারিয়া টিভির বিশ্লেষকরা বলেন, "ইসরায়েলের সঙ্গে রাষ্ট্র শব্দটি আর যায় না," যদিও কিছু বছর আগেও সৌদি ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করেছিল। সংবাদমাধ্যমটি নেতানিয়াহুকে 'ইহুদিবাদী' বলে অভিহিত করেছে এবং তার কর্মকাণ্ডকে দখলদারিত্বের প্রকাশ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
অপরদিকে, আল-আরাবিয়া টিভি নেতানিয়াহুর মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে, এবং সম্ভবত মানসিক সমস্যার কারণেই তিনি এমন বিতর্কিত প্রস্তাব দিয়েছেন বলে ধারণা করছে।
এই পরিবর্তিত পরিস্থিতির মধ্যে, হামাসের প্রতি সৌদির নতুন মনোভাব বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। ইতোমধ্যে সৌদি কিছু সংবাদমাধ্যম হামাসের পক্ষ থেকে দেওয়া বিবৃতি প্রকাশ করেছে, যা আগে তারা কখনো করেনি। অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, এটি সৌদির জন্য একটি নতুন কূটনৈতিক মোড় হতে পারে, যা ভবিষ্যতে হামাসের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরির সম্ভাবনা সৃষ্টি করবে।
এখন সময় দেখার যে, সৌদি আরবের এই অবস্থান কতটুকু প্রভাব ফেলবে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক সমীকরণে।
বিজ্ঞাপন