রবিবার , ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ১১ ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ছবি : সংগৃহীত
প্রকাশিত: ০৮:০৮ ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এবং জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল (UNHRC) থেকে সরে আসার পর, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবার কি জি২০ থেকে সরে যাবেন? এই প্রশ্ন এখন আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।
এ বিষয়ে ৫ ফেব্রুয়ারি নতুন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও মুখ খুলেছেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে জানান, আসন্ন জি২০ পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাবেন না। তিনি সাফ জানিয়ে দেন যে, দক্ষিণ আফ্রিকার "যুক্তরাষ্ট্র-বিরোধী" মনোভাব ও তাদের ভূমি সংস্কার নীতির প্রতি সমালোচনা জানিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। রুবিও তাঁর পোস্টে লিখেছেন, “জি২০ সম্মেলনের নাম করে ব্যক্তিগত সম্পত্তি দখল করা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়।”
এবারের জি২০ বৈঠকের থিম "সংহতি, সমতা এবং স্থায়িত্ব" রাখলেও, দক্ষিণ আফ্রিকার ভূমি সংস্কার নীতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে টানাপোড়েন চলছে। ট্রাম্প প্রশাসন দাবি করেছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষা করবে এবং দক্ষিণ আফ্রিকার ভূমি সংস্কার নীতি মেনে নেবে না।
বিশ্লেষকদের মতে, মার্কো রুবিওর সম্মেলন বয়কটের সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র ভূমি সংস্কারের বিরুদ্ধে নয়, এর পিছনে ইসরায়েল এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের বিষয়ও রয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেও, মার্কিন সরকার এই বিষয়টিকে সমর্থন করেছে।
আগামী ২০-২১ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত হবে জি২০ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলন, যেখানে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ উপস্থিত থাকবেন। মার্কো রুবিওর এ সিদ্ধান্ত আরও বাড়াতে পারে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের চাপ।
এদিকে, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও সম্মেলনে যোগ দিতে জোহানেসবার্গে উড়ে যাবেন। এই পরিস্থিতিতে ভারতের পক্ষে কী সিদ্ধান্ত আসে, তা এখনও অজানা।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মার্কিন বয়কটের ফলে ভারতসহ অন্যান্য দেশগুলোর উপর নতুন চাপ তৈরি হতে পারে।
বিজ্ঞাপন