রবিবার , ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ১১ ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ছবি : সংগৃহীত
প্রকাশিত: ০৭:৪৫ ২১ জানুয়ারী ২০২৫
এই মুহূর্তে এক মার্কিন ডলার সমান ভারতীয় ৮৬.৫৪ রুপি। কয়েকদিন আগে এই অঙ্ক ৮৭ রুপিতেও পৌঁছে যায়। কেন এমনটা হচ্ছে?
স্বাধীনতার সময়, ১৯৪৭ সালে, ভারতীয় রুপির মান ছিল এক মার্কিন ডলারের সমান। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিদেশি ঋণ এবং যুদ্ধের প্রভাব রুপির মানে বড় ধাক্কা দিয়েছে। ১৯৬২ সালের চীন এবং ১৯৬৫ সালের পাকিস্তান যুদ্ধের ফলে রুপির মান হ্রাস পেয়ে দাঁড়ায় ৭.৫৭।
১৯৯১ সালের আর্থিক সঙ্কটের সময় ভারত মাত্র তিন সপ্তাহ আমদানি চালানোর মতো মুদ্রার রিজার্ভ ধরে রাখতে পেরেছিল। তখন ডলারের বিপরীতে রুপির মান নেমে যায় ১৭.৯০ রুপিতে।
১৯৯৩ সালে বাজার নির্ধারিত মুদ্রার মান ব্যবস্থা চালু হয়। এরপর ২০০০ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে রুপি ডলারের বিপরীতে তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল ছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রুপির পতন আবারও উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, রুপির দুর্বল হওয়ার পেছনে রয়েছে কয়েকটি বড় কারণ:
আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীরা ভারতীয় বাজার থেকে বিনিয়োগ তুলে নিচ্ছেন। ভারতের রপ্তানি তুলনামূলক কম থাকায় বৈদেশিক মুদ্রার যোগান কমছে। বেশি দামে আমদানির ফলে রিজার্ভে চাপ বাড়ছে।
রিজার্ভ ব্যাংক পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে। সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে বিদেশি মুদ্রার ভান্ডার ৭০০ বিলিয়ন ডলার থেকে কমে ৬৪০ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।
বিশ্ব অর্থনীতির শীর্ষে উঠতে চাইলে ভারতকে রপ্তানি বাড়াতে হবে এবং মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। যদিও রিজার্ভ ব্যাংকের নীতিমালা কিছুটা ভারসাম্য রক্ষা করছে, তবে দীর্ঘমেয়াদি সমাধান প্রয়োজন।
বিজ্ঞাপন