রবিবার , ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ১১ ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ছবি: সংগৃহীত
প্রকাশিত: ০৭:২৫ ২১ জানুয়ারী ২০২৫
দ্বিতীয়বারের মতো মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে তার অভিষেকের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন সরকারি দক্ষতা বিভাগের উপ-প্রধান ভারতীয় বংশোদ্ভূত উদ্যোক্তা বিবেক রামাস্বামী।
নিজের এক্স অ্যাকাউন্টে বিবেক রামাস্বামী লেখেন, “ডিওজিই তৈরিতে সহায়তা করা আমার জন্য একটি সম্মানের বিষয়। আমি আত্মবিশ্বাসী যে ইলন এবং তার দল সফলভাবে সরকারকে সুবিন্যস্ত করতে পারবেন। ওহিওতে আমার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে খুব শিগগিরই জানাব। সর্বোপরি, আমরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে আমেরিকাকে আবার মহান করতে সহায়তা করতে সর্বাত্মক চেষ্টা করছি!”
তবে তার আকস্মিক পদত্যাগে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সূত্রমতে, ডিওজিই থেকে তার সরে যাওয়ার পেছনে ইলন মাস্কের সঙ্গে উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্ক এবং ট্রাম্প প্রশাসনের কিছু নীতিগত বিরোধ ভূমিকা রেখেছে।
পলিটিকোর এক রিপোর্ট অনুযায়ী, ইলন মাস্ক ডিওজিই থেকে রামাস্বামীর প্রস্থান নিয়ে ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। এর কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে তাদের সম্পর্কের টানাপোড়েন। এছাড়া ট্রাম্প প্রশাসনের উপদেষ্টাদের ঘনিষ্ঠ একজন রিপাবলিকান কৌশলবিদ জানান, “তিনি বন্ধন ছিন্ন করেছিলেন এবং ইলনের সঙ্গেও দ্বন্দ্বে জড়িয়েছিলেন। এজন্য মার-এ-লাগো থেকে তার দূরে চলে যাওয়া চাওয়া হয়েছিল।”
রামাস্বামী এইচ১-বি ভিসা প্রোগ্রাম নিয়ে তার অবস্থানের জন্য আলোচিত এবং বিতর্কিত হয়েছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি খাতে বিদেশি কর্মীদের উপর অতিরিক্ত নির্ভরশীলতার সমালোচনা করেছিলেন। তার এই বক্তব্য নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া তৈরি করে এবং দক্ষ কর্মীদের ভিসা সম্প্রসারণের বিরোধিতা হিসেবে বিবেচিত হয়।
রামাস্বামীর এই পদত্যাগ ট্রাম্প প্রশাসনের প্রাথমিক দিনগুলোতেই এক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে, যা অনেকের কাছেই অপ্রত্যাশিত।
বিজ্ঞাপন