রবিবার , ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ১১ ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ছবি: সংগৃহীত
প্রকাশিত: ১০:০২ ১৯ জানুয়ারী ২০২৫
‘ওকুজেপিসা ওমুকাজেন্দু’, যার অর্থ অতিথির কাছে স্ত্রীকে অর্পণ করে দেয়া। অতিথিকে সন্তুষ্ট রাখতে, গোষ্ঠীর পুরুষরা তাদের স্ত্রীরা'কে অতিথিদের সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপনে উৎসাহিত করেন। আফ্রিকার গহীণ রহস্যে ভরা মহাদেশের একটি উপজাতি হিম্বা, যারা বর্তমানে নামিবিয়াতে বসবাস করেন, তাদের অতিথি গ্রহণের প্রথা অতুলনীয়।
এদের সমাজের কাছে অতিথি তারাও দেবতুল্য, এবং তাদের স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য বিশেষ যত্ন নেয়া হয়। তাদের সংস্কৃতি, যা আধুনিক সমাজের কাছে অস্বাভাবিক মনে হতে পারে, সেখানে যৌনতা, স্ত্রী বদল ও সম্পর্কের ধারণা একেবারে আলাদা। নামিবিয়ার কুনেনে এলাকার হিম্বা জনগণের পুরুষেরা তাদের স্ত্রীর সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে উৎসাহিত করেন, যার মাধ্যমে অতিথিদের খুশি রাখা হয়।
এটি দীর্ঘ সময় ধরে চলে আসা প্রথা, যেখানে এক স্ত্রীকে অন্য পুরুষের সাথে যৌনতায় অংশগ্রহণ করতে দেয়া হয়। যদিও এটি বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত নয়, তবে হিম্বাদের মধ্যে একে পূর্ণ আস্থা ও সামাজিক অনুমতি দেয়া হয়। পুরুষরা তাদের স্ত্রীর পরকীয়ায় লিপ্ত হওয়ার বিষয়ে নির্লিপ্ত। এছাড়াও, একাধিক স্ত্রীর ধারণাও প্রচলিত, এবং একটি বিশ্লেষণে দেখা যায়, প্রায় ৭০% পুরুষ এমন সন্তানের লালন-পালন করেন, যাদের জন্মদাতা অন্য পুরুষ।
এখানে বিবাহবিচ্ছেদ সহজ এবং অস্বাভাবিক নয়। বিয়ের আগে, পুরুষ এবং কনের পরিবারে এক চুক্তি সই হয়, যেখানে পুরুষকে গবাদি পশু দিয়ে তার সামাজিক অবস্থান দেখাতে হয়। হিম্বা মহিলারা ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরিধান করেন, যা রেড আয়রন অক্সাইড, পশুর চর্বি দিয়ে তৈরি এক প্রকার প্রলেপ দিয়ে সাজানো থাকে। এই প্রলেপ তাদের ত্বককে রক্ষা করে এবং আর্দ্রতা বজায় রাখে।
এছাড়া, তারা স্নান করেন না, বরং আগুনের ধোঁয়ার মধ্যে বসে থাকেন। তাদের গহনাগুলি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়, যা ঐতিহ্য এবং শ্রেণি প্রদর্শন করে।
প্রযুক্তি এবং বিশ্বায়নের প্রভাবের সাথে, হিম্বাদের নয়া প্রজন্ম শহুরে জীবনের সাথে পরিচিত হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন