পাকিস্তানে স্বর্ণের খনির সন্ধানে বদলে যেতে পারে অর্থনীতি!

পাকিস্তানে স্বর্ণের খনির সন্ধানে বদলে যেতে পারে অর্থনীতি!

ছবি: সংগৃহীত

অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি
অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি

প্রকাশিত: ০৭:৩৫ ১৪ জানুয়ারী ২০২৫

পাকিস্তান বর্তমানে কঠিন আর্থিক সংকটে রয়েছে। এরই মধ্যে দেশটির পাঞ্জাব প্রদেশে একটি বিশাল স্বর্ণের খনির সন্ধান পাওয়া গেছে। সাবেক খনিমন্ত্রী ইব্রাহিম হাসান মুরাদ শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানান, সিন্ধু নদের পাঞ্জাব অংশের অববাহিকায় প্রায় ৩২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এই খনিতে ২৮ লাখ ভরি স্বর্ণের মজুত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

মুরাদের তথ্যমতে, বর্তমান বাজারে এই পরিমাণ স্বর্ণের মূল্য প্রায় ৮ হাজার কোটি পাকিস্তানি রুপি।

পাকিস্তানের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (জিএসপি) জানিয়েছে, সিন্ধু নদের তলদেশ থেকে ৬০০ বিলিয়ন রুপির সমপরিমাণ স্বর্ণ উত্তোলন সম্ভব। ১২৭টি জায়গা থেকে সংগৃহীত নমুনার পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে সংস্থাটি।

সাবেক খনিমন্ত্রী মুরাদ বলেন, “এই মূল্যবান খনিজ উত্তোলন শুরু হলে তা পাকিস্তানের অর্থনীতির জন্য একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি থেকে শুরু করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এটি একটি বড় সুযোগ।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হিমালয় থেকে সিন্ধু নদের স্রোতের সঙ্গে ভেসে আসা সোনার কণা দীর্ঘদিন ধরে নদীর তলদেশে জমা হয়ে এই মজুত তৈরি করেছে, যা ভূতাত্ত্বিক ভাষায় 'প্লেসার ডিপোজিশন' নামে পরিচিত।

প্রসঙ্গত, অ্যাটক জেলার ৩২ কিলোমিটার এলাকাতেই প্রায় ৩২.৬ টন স্বর্ণ থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন মুরাদ।

তবে ২০২৪ সালে পাঞ্জাব সরকার সিন্ধু নদ থেকে সোনা উত্তোলনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে এবং অবৈধ খনন কার্যক্রম বন্ধে ১৪৪ ধারা জারি করে।

২০২৪ সালের ২৯ নভেম্বর, চীনে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় স্বর্ণের খনির সন্ধান পাওয়া যায়। সেখানে প্রায় ১,০০০ টন সোনা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, যার বাজারদর আনুমানিক ৮,৩০০ কোটি ডলার।

পাকিস্তানের নতুন এই খনির সন্ধান তাদের অর্থনীতিকে বদলে দেওয়ার পাশাপাশি বৈশ্বিক খনিজ বাজারেও গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
 

বিজ্ঞাপন