বুধবার , ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ২০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ০৮:২১ ৩ ডিসেম্বর ২০২৪
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি অভিষেক হবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের। সেই অনুষ্ঠানের আগে যদি হামাসের কব্জায় থাকা জিম্মিরা মুক্তি না পায়, তাহলে ‘ভয়াবহ পরিণতি’ হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।সোমবার নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করা এক বার্তায় এ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ট্রাম্প ।
ট্রাম্প বলেন, “মধ্যপ্রাচ্যের চলমান যুদ্ধে অত্যন্ত নিষ্ঠুর, অমানবিক এবং পুরো বিশ্বের ইচ্ছের বিরুদ্ধে যাদেরকে জিম্মি হিসেবে বন্দি রাখা হয়েছে, তাদের মুক্তির জন্য সবাই সরব; কিন্তু সবাই শুধু কথাই বলছে, কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।”
“২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠান। যদি তার আগে জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া না হয়, সেক্ষেত্রে ভয়াবহ পরিণতি ঘটবে বলে তিনি জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র এমন আঘাত হানবে, যা এর আগে তার দীর্ঘ ইতিহাসে কখনও ঘটেনি। যারা মানবতাবিরোধী অপরাধ ও সহিংসতার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, তাদের সবাইকে নরকে পাঠানো হবে।”
গত ২৯ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটের সদস্য এবং ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত রিপাবলিকান পার্টির রাজনীতিবিদ লিন্ডসে গ্রাহাম এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, নিজের অভিষেক অনুষ্ঠানের আগেই গাজায় যুদ্ধবিরতি চান ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওসকে দেওয়া সেই সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেছিলেন, “গাজায় আটক ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি এবং সেখানে যুদ্ধবিরতির জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্প দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এমনকি তিনি চাইছেন, প্রেসিডেন্টের অভিষেক অনুষ্ঠানের আগেই যেন এ ব্যাপারে সুরাহা হয়।”
২০২৩ সালে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায় গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যার পাশাপাশি ২৪২ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়।
জিম্মিদের মুক্ত করতে গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী, যা এখনও চলছে। ভয়াবহ এ অভিযানের শুরু থেকে এ পর্যন্ত গাজায় নিহত হয়েছেন প্রায় ৪৪ হাজার ৪০০ ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছেন এক লক্ষাধিক।
বিজ্ঞাপন