বিজিএমইএর পরবর্তী সভাপতি হচ্ছেন মাহমুদ হাসান খান (বাবু)

বিজিএমইএর পরবর্তী সভাপতি হচ্ছেন মাহমুদ হাসান খান (বাবু)

নিজস্ব প্রতিবেদক, মোরনিউজবিডি
নিজস্ব প্রতিবেদক, মোরনিউজবিডি

প্রকাশিত: ০৭:১৭ ৩১ মে ২০২৫

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ)–এর ২০২৫-২০২৭ মেয়াদের নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এবারের নির্বাচনে ফোরাম প্যানেল বিপুল ব্যবধানে জয়ী হয়ে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছে। ফলে সংগঠনের নেতৃত্বে আসছেন ফোরাম প্যানেলের নেতা ও রাইজিং ফ্যাশনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহমুদ হাসান খান (বাবু)।

নির্বাচনে বিজিএমইএর পরিচালনা পর্ষদের মোট ৩৫টি পদের মধ্যে ফোরাম প্যানেল জয়ী হয়েছে ৩১টি পদে। এর মধ্যে ঢাকায় ২৬টি পরিচালক পদের মধ্যে তারা জয় পেয়েছে ২৫টিতে এবং চট্টগ্রামে ৯টি পদের মধ্যে জয় পেয়েছে ৬টি পদে। অপরদিকে, প্রতিদ্বন্দ্বী সম্মিলিত পরিষদ পেয়েছে মাত্র ৪টি পদ—ঢাকায় ১টি এবং চট্টগ্রামে ৩টি।

আগামী ২ জুন এই নির্বাচিত পরিচালকরা নিজেদের মধ্য থেকে সংগঠনের সভাপতি ও সহ-সভাপতি নির্বাচন করবেন। তবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের ফলে মাহমুদ হাসান খান (বাবু)-এর সভাপতি হওয়া এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। ইতোমধ্যেই বিজিএমইএ এবং গার্মেন্টস খাতে তার নেতৃত্ব নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে।

মাহমুদ হাসান খান বাবু একজন অভিজ্ঞ উদ্যোক্তা। তিনি রাইজিং ফ্যাশনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে গার্মেন্টস খাতে কাজ করছেন। এর আগেও তিনি বিজিএমইএর সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন এবং খাতের বিভিন্ন নীতিনির্ধারণী আলোচনায় সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছেন। তার নেতৃত্বে এবার ফোরাম প্যানেল ঐক্যবদ্ধ থেকে বিজয় অর্জন করেছে।

বিজিএমইএর নির্বাচনে এবার শান্তিপূর্ণ ও স্বচ্ছ পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পেরেছেন। নির্বাচন কমিশনের কার্যক্রম ও সংগঠনের তত্ত্বাবধান নিয়ে প্রশংসা করছেন সদস্যরা। নির্বাচন শেষে বিজয়ী প্রার্থীদের অভিনন্দন জানিয়েছে বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন ও রপ্তানিকারকরা।

পোশাক শিল্প বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান উৎস। এই খাতের নেতৃত্বে অভিজ্ঞ, দূরদর্শী ও কৌশলী একজন ব্যক্তির দায়িত্বে আসা অত্যন্ত সময়োপযোগী। তাই অনেকে আশা করছেন, মাহমুদ হাসান খান বাবুর নেতৃত্বে বিজিএমইএ’র নীতি, রপ্তানিমুখী উদ্যোগ, শ্রমিক কল্যাণ, টেকসই উন্নয়ন এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে।

এই নির্বাচনের ফলাফলে দেশের তৈরি পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তাদের মাঝে নতুন করে আশাবাদ দেখা দিয়েছে। তারা মনে করছেন, নতুন নেতৃত্ব গার্মেন্টস খাতকে আগামী দুই বছরে আরও সমৃদ্ধ ও প্রতিযোগিতামূলক করে তুলবে।

বিজ্ঞাপন