Sorry, you have been blocked

You are unable to access thailand-u31.com

Why have I been blocked?

This website is using a security service to protect itself from online attacks. The action you just performed triggered the security solution. There are several actions that could trigger this block including submitting a certain word or phrase, a SQL command or malformed data.

What can I do to resolve this?

You can email the site owner to let them know you were blocked. Please include what you were doing when this page came up and the Cloudflare Ray ID found at the bottom of this page.

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০টি লাভবান তেলের খনি

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০টি লাভবান তেলের খনি

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০টি লাভবান তেলের খনি

অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি
অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি

প্রকাশিত: ০৯:১২ ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জ্বালানি তেলের মজুত আছে ভেনেজুয়েলায়। এরপর রয়েছে সৌদি আরব, কানাডা ও ইরানে। তবে প্রতিদিন সবচেয়ে বেশি অপরিশোধিত তেল উৎপাদন করে যুক্তরাষ্ট্র। আবার তেলের বড় রপ্তানিকারক দেশ হলো সৌদি আরব। রাশিয়াও বড় তেল উৎপাদনকারী এবং অন্যতম শীর্ষ রপ্তানিকারক দেশ।

বিশ্বের বৃহত্তম তেলক্ষেত্রগুলির অধিকাংশই মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থিত, তবে ব্রাজিল, মেক্সিকো, ভেনিজুয়েলা, কাজাখস্তান এবং রাশিয়াতে সুপারজায়ান্ট (>10 বিলিয়ন বিবিএল ) তেলক্ষেত্রও রয়েছে।

তেলের খনি অবশ্য ছড়িয়ে–ছিটিয়ে আছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। এসব খনির কোনো কোনোটি বিশাল, কোনোটি আবার একেবারে ক্ষুদ্র। বেশি ছোট খনিতে আবার তেল উত্তোলন বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক হয় না। বড় তেলের খনি খুঁজে পেলে তা সেই দেশের অর্থনীতিকেই বদলে দিতে পারে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় খনিগুলোর বেশির ভাগই সেই সব দেশে অবস্থিত, যারা তেলের আন্তর্জাতিক বাজারেও গুরুত্বপূর্ণ।

দেখে নেওয়া যাক উৎপাদনের নিরিখে বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রথাগত তেলের ক্ষেত্র কোনগুলো:
১. গাওয়ার তেলক্ষেত্র, সৌদি আরব

এটি দেশটির পূর্ব প্রদেশে অবস্থিত। এই খনিটি লম্বায় ২৮০ কিলোমিটার ও চওড়ায় ৩০ কিলোমিটার। ১৯৪৮ সালে গাওয়ার খনি আবিষ্কৃত হয়, আর এটি উৎপাদনে যায় ১৯৫১ সালে। সৌদি আরামকো এটির মালিক। গাওয়ার খনি থেকে প্রতিদিন ৫০ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন করার সক্ষমতা রয়েছে। এই খনিতে তেলের সম্ভাব্য মজুত ৭ হাজার ১০০ কোটি ব্যারেল।

২. অসবার্গ, নরওয়ে

এটি উত্তর সাগরে অবস্থিত একটি তেল খনি, যার ওপরে অংশ রয়েছে গ্যাস ক্ষেত্র। নরওয়ের দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলীয় বার্জেন শহরের ১৪০ কিলোমিটার উত্তর–পশ্চিমে এটির অবস্থান। নবম শতকের একটি ভাইকং জাহাজের নামে এই খনিটির নামকরণ করা হয়েছে, আবিষ্কার করা হয়েছে ১৯৭৯ সালে। এটি থেকে প্রতিদিন ৩০ লাখ ৭৮ হাজার ব্যারেল তেল উত্তোলন করা যায়। এই খনির মূল পরিচালনাকারী কোম্পানি হলো স্টেটঅয়েল। সঙ্গে রয়েছে পেটোরো, টোটাল, এক্সমোবিল ও কনোকোফিলিপস।


৩. বলিভার কোস্টাল ফিল্ড, ভেনেজুয়েলা

দেশটির ভুখণ্ডে এই তেল ক্ষেত্রের আবিষ্কার হয় ১৯১৭ সালে আর উৎপাদনে যায় ১৯২২ সালে। দক্ষিণ আমেরিকায় এটি সবচেয়ে বড় তেলক্ষেত্র, যেখানে কূপের সংখ্যা ৭ হাজার। লেক মারাকাইবোর ৩৫ কিলোমিটার উপকূলজুড়ে এগুলোর অবস্থান। এই তেলক্ষেত্রে ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ৫০০ কোটি ব্যারেল তেল আছে বলে ধারনা করা হয়। উৎপাদন সক্ষমতা প্রতিদিন ২৬ লাখ ব্যারেল।

৪. ফিউদোরোভস্কোই ফিল্ড, রাশিয়া

পশ্চিম সাইবেরিয়ায় সেন্ট পিটার্সবার্গের দক্ষিণে এই তেলক্ষেত্রের অবস্থান। আবিষ্কার হয়েছে ১৯৭১ সালে। এই খনির মজুত এখন অনেকটাই কমে গেছে। তবে এখনো এটি থেকে ১৯ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল উৎপাদিত হয়।

৫. বুরগান ফিল্ড, কুয়েত

এই তেল ক্ষেত্রের খোঁজ পাওয়া যায় ১৯৫৭ সালে। কুয়েতের দক্ষিণ মরুভূমিতে এর অবস্থান। এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্যান্ডস্টোন তেলের খনি বলে বিবেচিত। ১৯৯১ সালে উপসাগরীয় যুদ্ধের সময় ইরাকি সেনারা পালিয়ে যাওয়ার মুহূর্তে এই তেলক্ষেত্রে আগুন ধরিয়ে দেয়। তবে ওই ঘটনায় এটির বড় রকমের কোনো ক্ষতি হয়নি বা মজুত কমেনি। বুরগান ক্ষেত্র থেকে প্রতিদিন ১৭ লাখ ব্যারেল তেল উত্তোলন করা হয়। সম্ভাব্য মজুত ৪ হাজার ৪০০ কোটি ব্যারেল।

৬. রুমাইলা তেলক্ষেত্র, ইরাক

১৯৫৩ সালে এই তেলের খনি আবিষ্কৃত হয়। এটির মালিক দেশটির সরকার হলেও বিপি বা ব্রিটিশ পেট্রোলিয়াম ও চায়না ন্যাশনাল পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের কাছে ইজারা দেওয়া আছে। বর্তমানে রুমাইলা ক্ষেত্র থেকে ১৩ লাখ ব্যারেল তেল উত্তোলন করা হয়। এটির সম্ভাব্য মজুত ১ হাজার ৭০০ কোটি ব্যারেল। রুমাইলা তেলক্ষেত্রে কূপের সংখ্যা ২৭০টি। আগামী দিনে উৎপাদনক্ষমতা ২১ লাখ ব্যারেলে বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

৭. সামোতলর ফিল্ড, রাশিয়া

লেক সামোতলর এলাকায় ১ হাজার ৭৫২ বর্গকিলোমিটারজুড়ে এর অবস্থান। আকারের দিক থেকে এই তেলক্ষেত্র রাশিয়ার সবচেয়ে বড়। ১৯৬৫ সালে এটি খুঁজে পাওয়া যায় আর এটি উৎপাদনে যায় ১৯৬৯ সালে। বর্তমানে এই খনি থেকে ৮ লাখ ৪৪ হাজার ব্যারেল তেল উত্তোলন করা হয়। সম্ভাব্য মজুত ৪০০ কোটি ব্যারেল। উৎপাদন শুরুর পর এই খনি থেকে ২৬০ কোটি টন তেল উত্তোলন করা হয়েছে।

৮. প্রিবস্কোই ফিল্ড, রাশিয়া

পশ্চিম সাইবেরিয়ার ৫ হাজার ৪০০ বর্গকিলোমিটারজুড়ে এই বিশাল তেলক্ষেত্রের অবস্থান। আবিষ্কার হয় ১৯৮২ সালে আর এটি উৎপাদনে আসে ২০০০ সালে। গাজপ্রম নেফট ও রসনেফট যৌথভাবে এটির মালিক ও পরিচালনা করে। বর্তমানে এই তেলক্ষেত্র থেকে প্রতিদিন ৬ লাখ ৮৪ হাজার ব্যারেল তেল উত্তোলন হয়।

৯. প্রুডহো বে, যুক্তরাষ্ট্র

আলাস্কার নর্থ স্লোপে ২ লাখ ১৩ হাজার ৫৪৩ একরজুড়ে এটির অবস্থান। এই তেলক্ষেত্র যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর আমেরিকা মহাদেশে সবচেয়ে বড়। ১৯৬৮ সালে এটি আবিষ্কৃত হলেও উৎপাদনে আসে ১৯৭৭ সালে। বিপি পরিচালিত এই খনিতে অন্য অংশীদার হলো এক্সনমবিল ও কনোকোফিলিপস আলাস্কা। প্রতিদিন ৬ লাখ ৬০ হাজার ব্যারেল তেল উত্তোলন হয় এখান থেকে। আর সম্ভাব্য মজুত ২ হাজার ৫০০ কোটি ব্যারেল।

১০. মাজনুন তেলক্ষেত্র, ইরাক

দক্ষিণ ইরাকের বসরা শহরের কাছে এই খনির অবস্থান। বিশ্বে যেসব খনি তেলে একেবারে পরিপূর্ণ, সেই তালিকার শীর্ষে রয়েছে মাজনুন তেলক্ষেত্র। এটির সম্ভাব্য মজুত ১ হাজার ২৬০ কোটি ব্যারেল। ১৯৭৫ সালে ব্রাজিলের কোম্পানি ব্রাসপেট্রো এটি আবিষ্কার করে। মাজনুন শব্দের অর্থ হলো পাগলাটে। প্রতিদিন এই ক্ষেত্র থেকে ৫ লাখ ব্যারেল তেল উত্তোলন করা হয়।

বিজ্ঞাপন

https://moreshopbd.com/