বৃহস্পতিবার , ২১ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১১:৫৭ ২৬ জুলাই ২০২৪
কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে সহিংসতার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে চলছে সাঁড়াশি অভিযান। নাশকতার স্পটের আশপাশ এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানের অলিগলি, এমনকি বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে পুলিশ। সন্দেহ হলে মোবাইল ফোন যাচাই করা হচ্ছে। হত্যাকাণ্ড বা নাশকতায় সম্পৃক্ততার কোনো আলামত পেলেই আটক করা হচ্ছে।
এ ছাড়া সিসিটিভি ক্যামেরা, ভিডিও ফুটেজ ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে চিহ্নিতদের ধরতেও চলছে অভিযান। র্যাব-ডিবিসহ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট এ কাজে তৎপর। এরই ধারাবাহিকতায় সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ২২৮ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) র্যাব সদর দফতরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক আ ন ম ইমরান খান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, নাশকতার অভিযোগে ঢাকায় ৫৫ জন ও ঢাকার বাইরে ১৭৩ জনসহ সারাদেশে ২২৮ জন গ্রেফতার করেছে র্যাব।
এর আগে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে বিটিভি ভবন, মেট্রোরেলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা ও নাশকতার ঘটনায় জড়িত গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সদস্য সচিব মো. তারেক রহমানসহ চারজনকে রাজধানীর মিরপুর ও বাড্ডা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে র্যাব।
তারা হলেন, গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সদস্য সচিব মো. তারেক রহমান (৩১), তার সহযোগী মো. সজল মিয়া (২৪), আল ফয়সাল রকি (২৭) ও মো. আরিফুল ইসলাম (৩০)।
র্যাব জানায়, গ্রেফতার ৪জন সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে হামলা, নাশকতা ও অগ্নিসংযোগে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছে। বিভিন্নবিরোধী রাজনৈতিক দল, মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী ও রাষ্ট্রবিরোধী চক্রের নির্দেশনায় তারা এই হামলা ও নাশকতায় অংশ নেয়।
তারা মূলত গ্রেফতার তারেকের নির্দেশনা ও নেতৃত্বে রাজধানীর বিটিভি ভবনসহ, মেট্রোরেলের কাজীপাড়া ও মিরপুর-১০ স্টেশনসহ রামপুরা, বাড্ডার বিভিন্ন স্থানে নাশকতা ও অগ্নিসংযোগ করেছে। দেশে ও দেশের বাইরের বিভিন্ন রাষ্ট্রবিরোধী কুচক্রী মহলের সঙ্গে তারেক নিয়মিত যোগাযোগ করতেন।
বিজ্ঞাপন