বৃহস্পতিবার , ২১ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, মোরনিউজ বিডি.কম, রংপুর
প্রকাশিত: ১২:২০ ২৯ জুলাই ২০২৪
কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংর্ঘষে নিহত আবু সাঈদের হত্যাকাণ্ডে দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তির ও স্মৃতি ধরে রাখতে তার নামে একটি মসজিদ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন তার মা মনোয়ারা বেগম।
রোববার (২৮ জুলাই) গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের সময় তিনি এ দাবি জানান।
মা মনোয়ারা বেগম বলেন, পুলিশ আমার ছেলেকে গুলি করে মেরেছে, আমি তার বিচার চাই। এমন বিচার যেন হয় যেন আর কেউ কোনো মায়ের বুক খালি করার সাহস না পায়। প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছেন ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবেন। আমার দাবি, আমার ছেলের নামে সরকার যেন একটা মসজিদ তৈরি করে দেন। সেখানে মানুষজন নামাজ পড়বে, আবু সাঈদের জন্য দোয়া করবে।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। গণমাধ্যম ও সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া নিরস্ত্র এই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ভিডিও নাড়া দিয়েছে পুরো জাতিকে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিহত আবু সাঈদের মৃত্যুতে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
রোববার দুপুরে গণভবনে এক অনুষ্ঠানে আবু সাঈদেরসহ ৩৪ পরিবারের হাতে সঞ্চয়পত্র ও নগদ অর্থ সহায়তা তুলে দেন সরকারপ্রধান।
আবু সাঈদের বোন সুমি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে সান্ত্বনা দিয়ে বলেছেন, তিনিও ঘাতকদের হাতে পরিবারের সবাইকে হারিয়েছে। মা-বাবা, ভাই-বোন, আত্নীয়-স্বজন কাউকে বাদ রাখেনি ঘাতকরা। ১০ বছর বয়সী ছোটভাই শেখ রাসেলকেও হত্যা করেছে। সেই শোক তো সহ্য করার মতো না।
সাঈদের ভাবি সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী এবং স্পিকারের সঙ্গে আমরা দেখা করেছি। আমাদের কষ্টের কথা বলেছি। স্পিকার আমাদের পীরগঞ্জের এমপি, তিনি আমাদের বাড়িতে আসতে চেয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে ফিরে আবু সাঈদের বাবার দাবি, আর কোনো সন্তানকে যেন এভাবে জীবন দিতে না হয়। তার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে সরকার প্রধানকেই।
প্রসঙ্গত; কোটা সংস্কার আন্দোলনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন আবু সাঈদ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। মা-বাবার ৯ সন্তানের মধ্যে একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া সন্তান ছিল আবু সাঈদ। গত ১৬ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন পার্ক মোড়ে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগ-যুবলীগের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় মিছিলের সম্মুখে থেকে বুক পেতে দেয়া আবু সাঈদের মৃত্যু হয় পুলিশের গুলিতে। এ ঘটনায় আন্দোলনের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে রংপুরসহ পুরো দেশজুড়ে।
বিজ্ঞাপন