অবশেষে মিলেছে মহানন্দা নদী থেকে উদ্ধারকৃত রক্তাক্ত মরদেহের  পরিচয়

অবশেষে মিলেছে মহানন্দা নদী থেকে উদ্ধারকৃত রক্তাক্ত মরদেহের  পরিচয়

জেলা প্রতিনিধি, পঞ্চগর
জেলা প্রতিনিধি, পঞ্চগর

প্রকাশিত: ০৮:৫৬ ১৩ অক্টোবর ২০২৪

উপজেলার বাংলাবান্ধা জাকিরজোত সীমান্তে  মহানন্দা নদী থেকে উদ্ধার হওয়া রক্তাক্ত মরদেহের  পরিচয় মিলেছে তিনি পাথর শ্রমিক জুয়েল (৩৫)। তিনি বোদা উপজেলার পাচপীর ইউনিয়নের বংশীধর পুজারি গ্রামের জামাল উদ্দীন এর  ছেলে।


জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে তেঁতুলিয়া মহানন্দা নদী থেকে  এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে তেতুলিয়া মডেল থানা পুলিশ। তাৎক্ষনিক তাঁর পরিচয় পাওয়া যায়নি। লাশের পরিচয় শণাক্ত করতে কাজ শুরু করেন  ক্রাইম সীন ইউনিট পুলিশ। ওইদিন ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করে পুলিশ।

নিহতের ভাই ওসমান গনি বলেন, কাজের সন্ধানে তেঁতুলিয়ার  বাংলাবান্ধা  শ্রমিক হিসেবে ভাড়া থেকে তিনি পাথর শ্রমিকের কাজ করতো। এরপরে জানতে পারেন। আমরা মনে করছিলাম ভাড়া বাসায় আছেন।  অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধারের খবর শুনে মডেল থানায় যোগাযোগ করি। ছবি ও অন্যান্য আনুষাঙ্গিক দেখে পরিচয় শণাক্ত করি। 

খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, তেতুলিয়া উপজেলা বাংলাবান্ধা এলাকায় শ্রমিকের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন তিনি। তার  ‍দুই ছেলে ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে।

স্থানীয় লোকজন জানান, তাঁর চোখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারধরের আঘাতের চিহ্ন আছে। বিভিন্ন জায়গায় হাতে মাথায় কাটা  দাগ হয়ে আছে। ধারণা করা হচ্ছে, কেউ পরিকল্পনা করেই উপর্যুপরি পিটিয়ে হত্যার পর লাশ নদীতে ফেলে দিয়েছে।

তেঁতুলিয়া মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক মামলার  (তদন্ত) এস আই আনসার উল্লাহ জানান, মরদেহের পরিচয় শনাক্তে সিআইডির বিশেষ একটি দল মাঠে  কাজ করছে। তিনি আরো বলেন- লাশের হাত, মাথা, গলা,কপাল ও চোয়ালে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।


তেতুলিয়ায়  মডেল থানা একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। তেঁতুলিয়ায় মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রবীর চন্দ্র সরকার জানান মৃত ব্যক্তির  পরিচয় শণাক্ত করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। 

বিজ্ঞাপন