বৃহস্পতিবার , ২১ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১২:২৩ ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় এক টাকার জন্য দারিদ্র্য বিমোচন প্রকল্পের ফিল্ড অফিসারকে মারধর করলেন উপজেলা যুবদল নেতা ইউনুস আলী লাভলু। রবিবার দুপুরে হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের ভিতরে দারিদ্র্য বিমোচন প্রকল্প অফিসে এমন মারধরের ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, হাতীবান্ধা উপজেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইউনুস আলী লাভলু দারিদ্র্য বিমোচন প্রকল্প থেকে গত বছর ৩০ হাজার ঋণ গ্রহণ করেন এবং তা পরিশোধ করে নতুন করে ৫০ হাজার টাকা ঋণ নেওয়ার জন্য আবেদন করেন। কিন্তু দারিদ্র্য বিমোচন প্রকল্পের ফিল্ড অফিসার গনেশ চন্দ্র বর্মন ৪০ হাজার টাকার বাহিরে কোন ধরনের অতিরিক্ত ঋণ দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। আর এতেই উভয়ের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। এরই এক পর্যায়ে ইউনুস আলী লাভলু ঋণ না নিয়ে সঞ্চয় উত্তোলণ করতে বলেন। পরে হিসাব নিকাশ শেষে অফিস ইউনুস আলী লাভলুর কাছের ৩৯ টাকা পাওনা থাকে। ৩৯ টাকা পরিশোধের জন্য লাভলু ৫০ টাকার একটি নোট ওই অফিসারের হাতে দিয়ে বাকি ১১ টাকা ফিরত চায় ইউনুস আলী লাভলু। কিন্তু ফিল্ড অফিসার গনেশ চন্দ্রের কাছে ১ টাকা না থাকায় এগারো টাকার পরিবর্তে ১০ টাকা ফিরত দেন। ইউনুস আলী ১ টাকার জন্য ফিল্ড অফিসার সাথে বাকবিতন্ডা শুরু করেন। এক পর্যায়ে ইউনুস আলী লাভলু ক্ষিপ্ত হয়ে ফিল্ড অফিসার গনেশ চন্দ্র বর্মন এর শার্টের কলার ধরে মারধর শুরু করেন।
গনেশ চন্দ্র বর্মন দাবি করেন, আমার কাছে জোর করে ৫০ হাজার টাকা ঋণ চান লাভলু ভাই। তবে আমার এত টাকা দেয়ার কোন নিয়ম নাই। আমি ওনাকে ৪০ হাজার টাকা দিতে চেয়েছি। এতেই তিনি ক্ষিপ্ত হয়। পরে তিনি ঋণ নিবেন না বলে আমাকে জানান। ১ টাকা না থাকায় ১১ টাকার জায়গায় ১০ টাকা দিয়েছি। ওনি বাকি ১ টাকা না দিলে যাবেন না। এরই একপর্যায়ে আমাকে মারধর করেন।
বিষয়টি নিয়ে ইউনুস আলী লাভলু বলেন, আমি তাকে মারধর করিনি। শুধু একটু ধাক্কা দিয়েছি। ওই অফিসার আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে।
দারিদ্র্য বিমোচন অফিসের কর্মকর্তা ইসমত আরা খানম জানান, এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানায় একটি জিডি করেছি, এবং আমার উর্ধতন কর্মকর্তা যে নির্দেশনা দিবেন সে অনুযায়ী কাজ করা হবে।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট জেলা যুবদলের সভাপতি ভিপি আনিসুর রহমান আনিস বলেন, ইউনুস আলী লাভলুকে অনেক আগেই তাকে দল থেকে বহিষ্কার হয়েছে তার কোন অপকর্মের দায় বিএনপি বা তার কোন অঙ্গ সংগঠন নিবেনা।
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আফজাল হোসেন মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি কৌশলে বিষয়টি এরিয়ে যান।
হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আতিকুল ইসলাম বলেন, মারধরের ঘটনাটির শুনেছি, তাদেরকে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলেছি।
বিজ্ঞাপন