২০২৪ সালের বন্যা ছিল অস্বাভাবিক ও ভয়াবহ : প্রধান উপদেষ্টা

২০২৪ সালের বন্যা ছিল অস্বাভাবিক ও ভয়াবহ : প্রধান উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি
অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি

প্রকাশিত: ০৭:২২ ৩০ এপ্রিল ২০২৫

২০২৪ সালের বন্যাকে ‘স্বাভাবিক বন্যা’ নয় বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তার মতে, এই বন্যা ছিল অপ্রত্যাশিত, ব্যতিক্রমধর্মী এবং ব্যাপক মানবিক বিপর্যয়ের কারণ।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অবস্থিত প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ভার্চুয়ালি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী ও কুমিল্লা জেলার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমরা যখন সরকারের দায়িত্ব নিই, ঠিক তখনই বন্যা শুরু হয়। প্রথমে আমরা বুঝতেই পারিনি এই অঞ্চলে এমন ভয়াবহ বন্যা হতে পারে। এটা যে শুধু ব্যতিক্রমী ছিল তাই নয়, মানুষের জীবন-জীবিকায় কতটা গভীর প্রভাব ফেলবে, সে ধারণাও আমাদের ছিল না। আমরা ভেবেছিলাম, হয়তো তাড়াতাড়িই পানি নেমে যাবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল, পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে উঠছে।”

তিনি আরও জানান, “বন্যা চলাকালীন মানুষ সর্বস্ব হারিয়েছে। তখন বিভিন্ন পক্ষ থেকে প্রস্তাব আসছিল, ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য নগদ অর্থ সহায়তা দিতে হবে। কিন্তু আমি এই প্রস্তাবে সায় দিইনি। কারণ নগদ অর্থ দিলে সেটির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা কঠিন। অনেকে হয়তো প্রাপ্য নয়, তারাও সেই টাকা পেয়ে যাবে। তখন আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে ঘর নির্মাণের কথা উঠে আসে। সেনাবাহিনীর মাধ্যমে কাজটি করায় আমরা নিশ্চিত হই যে অর্থের অপচয় হবে না এবং গুণগতমান বজায় থাকবে।”

অধ্যাপক ইউনূস জানান, “ঘর নির্মাণে যে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল, তার মাত্র অর্ধেক খরচে কাজটি সম্পন্ন হয়েছে। এটি নিঃসন্দেহে একটি আনন্দের খবর। সাধারণত বরাদ্দকৃত অর্থের তুলনায় অতিরিক্ত ব্যয় চাওয়া হয়, কিন্তু এখানে উল্টোটা ঘটেছে। এটি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার একটি সফল উদাহরণ।”

তিনি বলেন, “ঘরগুলোর গুণগতমান নিয়েও আমরা সন্তুষ্ট। অনেক সময় অর্থ থাকলেও নির্মাণ মানহীন হয়। এবার সেই সমস্যা হয়নি।”

প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে উঠে এসেছে, বর্তমান সরকারের মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং দুর্যোগ মোকাবিলায় বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনার সফল প্রতিফলন।

বিজ্ঞাপন