রবিবার , ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৮ পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
টাকা গণনা করে বান্ডিলগুলো সাজিয়ে রাখা হয়েছে। শনিবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পাগলা মসজিদে
প্রকাশিত: ১০:৫৮ ৩০ নভেম্বর ২০২৪
কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের ১১টি দানসিন্দুকের টাকা গণনা অব্যাহত আছে। চার ঘণ্টার গণনায় পাওয়া গেছে ছয় কোটি টাকা। বর্তমানে খুচরা টাকা গণনা করা চলছে । গণনা শেষ হতে সন্ধ্যা হয়ে যাবে।
দুপুরে পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শওকত উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, প্রশাসনের কর্মকর্তা ও কিশোরগঞ্জ সেনা ক্যাম্পের অধিনায়ক লেফটেনেন্ট কর্নেল রিয়াজুল করিমের উপস্থিতিতে ১ হাজার ও ৫০০ টাকার নোটের ৬ কোটি টাকার বান্ডিলগুলো বস্তায় ভরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্বারা স্থানীয় রূপালী ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে। বাকি গণনা শেষ হতে সন্ধ্যা লেগে যেতে পারে। এবার দানসিন্দুক ও টাকার বস্তার সংখ্যা বেশি হওয়ায় এবার টাকার পরিমাণ অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ৩ মাস ১৩ দিন পর কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের ১১টি দানসিন্দুক খুলে পাওয়া গেছে ২৯ বস্তা টাকা, বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালংকার ও বৈদেশিক মুদ্রা। সকাল আটটার দিকে এসব টাকা গণনার কাজ শুরু করা হয়।
জেলা শহরের নরসুন্দা নদীতীরের ঐতিহাসিক এই মসজিদটিতে লোহার দানসিন্দুকগুলো প্রতি তিন থেকে চার মাস পর পর খোলা হয়। আগে ৯টি সিন্দুকের পর এবার আরও দুইটি সিন্দুক বাড়ানো হয়েছে। গত ১৭ আগস্ট খোলা হয়েছিল ৯টি দানসিন্দুক। তখন ২৮ বস্তার মধ্যে ৭ কোটি ২২ লাখ ১৩ হাজার ৪৬ টাকাসহ ছিল বৈদেশিক মুদ্রা, সোনার গয়না ও হীরা।
প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে কিশোরগঞ্জের আল জামিয়াতুল ইমদাদিয়া ও পাগলা মসজিদের এতিমখানার প্রায় আড়াই শ শিক্ষার্থী, ব্যাংকের ৭০ কর্মকর্তা-কর্মচারী, মসজিদ কমিটি এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ সাড়ে তিন শ মানুষ এই গণনার কাজ করছেন।
জেলা প্রশাসক ও মসজিদ কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান বলেন, “পাগলা মসজিদ ও ইসলামি কমপ্লেক্সের খরচ চালিয়ে দানের বাকি টাকা ব্যাংকে জমা রাখা হয়। এ থেকে জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানায় অনুদান দেওয়ার পাশাপাশি অসহায় এবং জটিল রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সহায়তা করা হয়।”
কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে পাগলা মসজিদ অন্যতম। শহরের পশ্চিমে হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে মসজিদটি স্থাপিত।
বিজ্ঞাপন