Sorry, you have been blocked

You are unable to access thailand-u31.com

Why have I been blocked?

This website is using a security service to protect itself from online attacks. The action you just performed triggered the security solution. There are several actions that could trigger this block including submitting a certain word or phrase, a SQL command or malformed data.

What can I do to resolve this?

You can email the site owner to let them know you were blocked. Please include what you were doing when this page came up and the Cloudflare Ray ID found at the bottom of this page.

নেপালের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রীর প্রকাশ্য বক্তব্য—“দেশ ছেড়ে পালাব না”

নেপালের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রীর প্রকাশ্য বক্তব্য—“দেশ ছেড়ে পালাব না”

নেপালের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রীর প্রকাশ্য বক্তব্য—“দেশ ছেড়ে পালাব না”

অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি
অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি

প্রকাশিত: ১১:৪০ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ভক্তপুর, (তারিখ অনু্যায়ী) — নেপালের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ও সিপিএন–ইউএমএল (কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল — ইউএমএল) চেয়ারম্যান কে পি শর্মা অলি জনসমক্ষে এসে স্পষ্ট করে ঘোষণা দিয়েছেন যে তিনি দেশের ভবিষ্যত রেখে পালাবেন না। চলতি মাসের শুরুতে জেন-জিদের আন্দোলনের চাপের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন অলি; কিন্তু ১৮ দিন পর ভক্তপুরের গুন্ডু এলাকায় দলের যুব শাখার সমাবেশে হাজির হয়ে তিনি দাবি করেছেন, ‘‘আপনারা কি ভাবছেন দেশকে আমরা এই ভিত্তিহীন সরকারের হাতে ছেড়ে দিয়ে পালাব? কোনো দিন না।’’

অলি তাঁর বক্তব্যে দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘‘আমরাই এ দেশ গড়ে তুলব। আমরা দেশকে আবার সাংবিধানিক ধারায় ফিরিয়ে আনব, শান্তি ও সুশাসন ফিরিয়ে আনব।’’

অলির এই প্রকাশ্য বক্তৃতা ছিল তার সরকারি বাসভবন ছাড়ার ১৮ দিন পর প্রথম বড় দলের সমাবেশ বক্তৃতা। এতে তিনি আন্দোলন-জটিলতার সময়ের অভিজ্ঞতা, নিরাপত্তাগত সমস্যা এবং বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ তুলে এনেছেন। অলি জানান, ৯ দিন তিনি সেনাবাহিনীর নিরাপত্তার আড়ালে ছিলেন। পরে ১৮ সেপ্টেম্বর তিনি ভাড়া করা বাসায় উঠেন। অপরদিকে, ৯ সেপ্টেম্বর আন্দোলনকারীরা ভক্তপুরের বালকোটে তাঁর ব্যক্তিগত বাসভবন পুড়িয়ে দেয়—ঘটনা যা অতিরিক্ত উদ্বেগ ও বিতর্ক সৃষ্টি করেছে।

অলি তৎকালীন ঘটনাকে কেন্দ্র করে বলেন, তিনি কোনো ষড়যন্ত্রে যুক্ত ছিলেন না এবং আন্দোলন পরিচালনার সময় প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহিনীকে যে নির্দেশনা দিয়েছিলেন তার কোনো রেকর্ড থাকলে তিনি তা প্রকাশ করার জন্য বর্তমান সরকারকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন। এছাড়া তিনি অভিযোগ করেন যে তাঁর নতুন বাসভবনের অবস্থান সবার সঙ্গে জেনে সেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে—তবু বর্তমান প্রশাসন যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করেনি। তিনি উল্লেখ করেছেন, ‘‘সামাজিক মাধ্যমে বলা হচ্ছে ‘অলির নতুন বাড়ি খুঁজে বের করে আক্রমণ করো।’ সরকার কী করছে? শুধু বসে বসে দেখছে।’’

অলি বলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কারকির নেতৃত্বাধীন সরকার জনসমর্থনহীন — তিনি আখ্যা দিয়েছেন এই সরকারকে ‘‘লুটপাট, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে গঠিত’’ একটি সরকার হিসেবে। এসব কথা বলে তিনি সরকারেরলঙ্ঘনের নিন্দা ও জনতায় তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করেন।

বক্তৃতার একটি অন্য গুরুত্বপূর্ণ দাবি ছিল: আন্দোলনের সময় প্রাণহানির ঘটনায় নেপালকে একটি স্বচ্ছ ও স্বাধীন তদন্তের দাবি। অলি বলেন, প্রয়োজনে সে তদন্তের দাবি তিনি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিতেও পারবেন—যদিও তিনি সরাসরি কোন আন্তর্জাতিক সংস্থার নাম উল্লেখ করেননি। এছাড়া তিনি দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে কড়া ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান এবং স্থানীয় স্তরে নতুন ভাবে সংগঠন জোরদারের কথাও বলেন।

রাজনৈতিক ভাবনায় এই ঘোষণা বহুমাত্রিক প্রতিক্রিয়া ডেকে আনবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন—কারণ অলির নেতৃত্বে ইউএমএল দীর্ঘদিন ধরে নেপালের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক শক্তি; তার প্রত্যাবর্তন বা সক্রিয়তা রাজনৈতিক মানচিত্রে বড় প্রভাব ফেলতে পারে। একই সঙ্গে সরকার ও ক্ষমতাশালী মহল কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায়—সে বিষয়ে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেতে পারে।


অলির পদত্যাগ ও তার পরবর্তী ঘটনাগুলো—বালকোটে বাসভবন পুড়িয়ে দেওয়া, নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রশ্ন—সব মিলিয়ে নেপালের রাজনৈতিক পরিস্থিতি সংকটপূর্ণ পর্যায়ে পৌঁছেছে।

অলি দলের মধ্যে ও জনসমক্ষে পুনরায় সক্রিয় হওয়ায় ভবিষ্যতে রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়তে পারে, বিশেষত যদি তিনি পুনরায় গণআন্দোলন বা পদক্ষেপ শুরু করেন।

নিহত বা আহতদের ব্যাপারে স্বচ্ছ তদন্ত না হলে সামাজিক উত্তেজনা আরও বাড়ার সম্ভাবনা আছে; তাই অলির ‘প্রাণহানির তদন্ত’ দাবিটি রাজনৈতিক ও মানবিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ।

কেপি শর্মা অলির ভক্তপুরের ভাষণ নেপালের রাজনীতিতে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে পারে—তিনি প্রত্যাহার বা নির্বাসনের মতো কোনো ইঙ্গিত না দিয়ে স্পষ্ট করে বলেছেন তিনি পালাবেন না এবং দেশের রাজনৈতিক পুনর্গঠনে অংশ নেবেন। এখন দেখার বিষয়—সরকার কীভাবে এই চ্যালেঞ্জের জবাব দেয় এবং রাজনৈতিক মঞ্চে ভবিষ্যত কৌশলগুলো কেমন রূপ নেয়।

বিজ্ঞাপন

https://moreshopbd.com/