রবিবার , ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ৩০ ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১২:০৭ ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী এলাকায় রাশিয়ার ড্রোন হামলার সময় সেটি রোমানিয়ার আকাশসীমায় অনুপ্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী। শনিবারের এ ঘটনায় রোমানিয়া দ্রুত এফ-১৬ যুদ্ধবিমান পাঠালেও ড্রোনটি আবার ইউক্রেনের আকাশে ফিরে যায়।
রোমানিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইউনুত মোসতেয়ানু জানান, রাশিয়ার ড্রোনটি খুব নিচ দিয়ে উড়ছিল এবং পাইলটরা সেটিকে ভূপাতিত করার জন্য প্রায় কাছাকাছি চলে গিয়েছিলেন। তবে এর আগেই ড্রোনটি আকাশসীমা ছেড়ে ইউক্রেনের দিকে চলে যায়।
একই সময় পোল্যান্ডও ড্রোন হুমকির কারণে নিজেদের আকাশে যুদ্ধবিমান মোতায়েন করে এবং নিরাপত্তার কারণে লুবলিন শহরের একটি বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়। এর তিন দিন আগেই দেশটি ন্যাটোর সহযোগিতায় কয়েকটি রুশ ড্রোন ভূপাতিত করেছিল।
রোমানিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, আকাশসীমায় ড্রোন শনাক্ত হওয়ার পরপরই দুটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান এবং পরে দুটি ইউরোফাইটার যুদ্ধবিমান পাঠানো হয়। একই সঙ্গে দানিয়ুব নদী ও ইউক্রেন সীমান্তসংলগ্ন তুলসিয়া কাউন্টির বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, চিলিয়া ভেচে গ্রামের দক্ষিণ-পশ্চিমে গিয়ে ড্রোনটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে জানিয়েছেন, প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, রাশিয়ার ড্রোনটি রোমানিয়ার আকাশসীমায় প্রায় ১০ কিলোমিটার ভেতরে প্রবেশ করে এবং ন্যাটোর আকাশসীমায় প্রায় ৫০ মিনিট অবস্থান করে। তিনি বলেন, “এটি রাশিয়ার তরফে যুদ্ধ বিস্তারের স্পষ্ট চেষ্টা। তাদের বিরুদ্ধে আরও নিষেধাজ্ঞা ও শুল্ক আরোপের পাশাপাশি সম্মিলিত প্রতিরক্ষাব্যবস্থা জরুরি।”
ন্যাটোর সদস্য দেশ রোমানিয়া ইউক্রেনের সঙ্গে ৬৫০ কিলোমিটার সীমান্ত ভাগ করেছে। রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকেই দেশটিতে রুশ ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ পড়ার ঘটনা একাধিকবার ঘটেছে।
এ ঘটনার পর সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিয়া মালমার স্টেনারগার্ড এক্সে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, “এটি ন্যাটো আকাশসীমার আরেকটি অগ্রহণযোগ্য লঙ্ঘন। সুইডেন রোমানিয়ার পাশে আছে এবং ন্যাটোর প্রতিরক্ষায় সবসময় ভূমিকা রাখতে প্রস্তুত।”
ন্যাটো ইতোমধ্যেই ইউরোপের পূর্বাঞ্চলে অতিরিক্ত নিরাপত্তা জোরদারের পদক্ষেপ নিয়েছে।
বিজ্ঞাপন