শনিবার , ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ২৯ ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১২:৪৮ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
কাতারের রাজধানী দোহায় গত মঙ্গলবার হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতাদের লক্ষ্য করে ইসরায়েল একটি বিমান হামলা চালিয়েছে। আকাশে ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে, তবে হামলার মূল লক্ষ্যরা জীবিত রয়েছেন। স্থানীয় এবং আরব গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গেছে, হামলার আগে নেতারা নামাজ আদায় করতে গিয়ে মূল বৈঠকস্থল ছাড়েন এবং মুঠোফোন রাখার কারণে হামলার সঠিক অবস্থান চিহ্নিত করতে সমস্যায় পড়ে ইসরায়েলি বাহিনী।
সৌদি আরবের মালিকানাধীন সংবাদপত্র আশার্ক আল-আওসাত জানিয়েছে, নেতারা মূল ভবনের বাইরে অন্য স্থানে ছিলেন। মূল ভবন হামলার নিশানা হওয়ায় তারা বেঁচে গেছেন। হামলার লক্ষ্য ছিলেন হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সহসভাপতি খলিল আল-হায়া, তবে আল-হায়ার পাশাপাশি সহসভাপতি খালেদ মেশালও নিরাপদে ছিলেন।
আল-জাজিরা জানিয়েছে, বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য ছিল মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফ প্রস্তাবিত সর্বশেষ শান্তিচুক্তি নিয়ে আলোচনা। কাতারের একজন অজ্ঞাত জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, বৈঠকে উপস্থিত নেতারা তুরস্ক থেকে দোহায় এসেছিলেন।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, “সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে, যাতে বছরের পর বছর ধরে হামাস নেতারা পরিচালিত কার্যক্রমে প্রভাব পড়বে। হামলার আগে বেসামরিক লোকদের ক্ষতি কমাতে সতর্কতা নেওয়া হয়েছে।”
ইসরায়েলের চ্যানেল ১২-এর সাংবাদিক বারাক রাভিদ জানিয়েছেন, অভিযানের নাম ছিল ‘সামিট অব ফায়ার’ এবং এটি হামাস কর্মকর্তাদের হত্যা চেষ্টা হিসেবে পরিকল্পিত ছিল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প reportedly এই হামলার ‘সবুজ সংকেত’ দিয়েছেন। তবে কাতার বিষয়টি কঠোরভাবে নিন্দা জানিয়েছে এবং বলেছেন, “এ হামলা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে এবং কাতারের নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি।”
ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিপ্রেক্ষিতে, অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ হামলার প্রশংসা করেছেন এবং এটিকে ‘সঠিক সিদ্ধান্ত’ আখ্যায়িত করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি লিখেছেন, “সন্ত্রাসীদের কোনো ছাড় নেই এবং ভবিষ্যতেও হবে না। ইসরায়েলের দীর্ঘ হাত বিশ্বের যেকোনো স্থানে তাদের ঘিরে ধরবে।”
বিরোধীদলীয় নেতা ইয়ার লাপিডও বিমানবাহিনী, আইডিএফ ও শিন বেতকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, “তারা আমাদের শত্রুকে প্রতিহত করতে সক্ষম।”
এ ঘটনায় কাতার-ইসরায়েলের সম্পর্ক আরও সংকীর্ণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পর্যবেক্ষণ করছে।
বিজ্ঞাপন