শনিবার , ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ২৮ ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ০৭:১৯ ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নেপালে জেন জি বিক্ষোভে সরকারের পতনের পর প্রতিবেশী ভারতেও ছাত্র আন্দোলনের ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যে দেশটির একাধিক রাজ্যে বিভিন্ন দাবিতে মানুষ রাস্তায় নামছে।
গত মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) চাকরিপ্রত্যাশীদের আন্দোলনে অচল হয়ে পড়ে বিহারের একাধিক এলাকা। তার পরদিনই প্রতিবাদের আগুন ছড়িয়ে পড়ে আসাম রাজ্যে। বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় তিনসুকিয়া জেলায় মোড়ান সম্প্রদায়ের প্রায় ২০ হাজার মানুষ রাস্তায় নামেন। তাদের মূল দাবি— অবিলম্বে মোড়ানদের ‘তফসিলি উপজাতি’ (এসটি) মর্যাদা প্রদান।
অল মোড়ান স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (এএমএসইউ)-এর নেতৃত্বে বিক্ষোভ শুরু হয় তালাপ, কাকোপাথার ও মার্ঘেরিটায় ধারাবাহিক কর্মসূচির মাধ্যমে। পরে তা রূপ নেয় তিনসুকিয়া শহরের বিশাল সমাবেশে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আসন্ন আসাম সফরের (১৩ সেপ্টেম্বর) ঠিক আগে এই আন্দোলন রাজ্যের রাজনৈতিক অঙ্গনকে নাড়িয়ে দিয়েছে।
কড়া নিরাপত্তার মধ্যেই বরগুড়ি ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের মাঠ থেকে মিছিলটি শুরু হয়। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে বিপুল জনসমাগমে পুরো শহর মুখরিত হয়ে ওঠে।
সমাবেশে এএমএসইউ সভাপতি পোলিন্দ্র বরা অভিযোগ করেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদী নিজে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, বিজেপি সরকার গঠনের ১০০ দিনের মধ্যেই মোড়ানসহ আরও পাঁচটি সম্প্রদায়কে এসটি মর্যাদা দেওয়া হবে। কিন্তু ১০ বছর কেটে গেলেও সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হয়নি। সরকার আমাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।” তিনি আরও হুঁশিয়ারি দেন, “২০২৬ সালের নির্বাচনের আগে দাবি পূরণ না হলে আরও কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।”
বিক্ষোভকারীরা সতর্ক করে বলেন, আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সরকার স্পষ্ট পদক্ষেপ না নিলে ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে রাজ্যব্যাপী অর্থনৈতিক অবরোধ।
একই সুরে এএমএসইউ সাধারণ সম্পাদক জয়কান্ত মোড়ান বলেন, “আমাদের সবসময় রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। কংগ্রেস, এজিপি, এমনকি বিজেপিও প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে। এবার আর তা মেনে নেওয়া হবে না।”
বিক্ষোভ শেষে তিনসুকিয়া থানার চারিআলিতে আরও একটি প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ছাত্রনেতারা মোড়ান সম্প্রদায়ের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থেকে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
বিজ্ঞাপন