ট্রাম্পের হুমকির পর রুশ তেল আমদানি স্থগিত করলো ভারত

ট্রাম্পের হুমকির পর রুশ তেল আমদানি স্থগিত করলো ভারত

অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি
অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি

প্রকাশিত: ০৫:১৬ ৩১ জুলাই ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুঁশিয়ারির পরপরই রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানি স্থগিত করেছে ভারতের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তেল শোধনাগার কোম্পানিগুলো। চলতি জুলাই মাসে রুশ তেল আমদানিতে কিছু প্রতিবন্ধকতা তৈরি হওয়া এবং ট্রাম্পের হুমকিকে ‘সতর্ক সংকেত’ হিসেবে বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় শিল্প সূত্র। খবর প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম তেল আমদানিকারক দেশ ভারত বর্তমানে রাশিয়ার অপরিশোধিত তেলের অন্যতম প্রধান ক্রেতা। তবে ভারতের চারটি রাষ্ট্রায়ত্ত প্রধান তেল পরিশোধন প্রতিষ্ঠান—ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন (আইওসি), হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (এইচপিসিএল), ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসিএল) এবং ম্যাঙ্গালোর রিফাইনারি অ্যান্ড পেট্রোকেমিক্যালস (এমআরপিএল)—গত এক সপ্তাহে রুশ তেলের কোনো নতুন ক্রয়াদেশ দেয়নি।

তবে এই বিষয়ে এখন পর্যন্ত আইওসি, এইচপিসিএল, বিপিসিএল, এমআরপিএল কিংবা ভারতের জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য আসেনি।

রুশ তেল আমদানি সাময়িকভাবে স্থগিত হওয়ায় ভারতীয় রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানিগুলো বিকল্প উৎসের সন্ধানে রয়েছে। তারা এখন স্পট মার্কেট থেকে তেল কেনার দিকে ঝুঁকছে এবং বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের আবু ধাবির ‘মুরবান ক্রুড’ ও পশ্চিম আফ্রিকার অপরিশোধিত তেলের প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছে।

বর্তমানে ভারতের তেল পরিশোধনের মোট দৈনিক সক্ষমতা প্রায় ৫২ লাখ ব্যারেল, যার মধ্যে রাষ্ট্রীয় কোম্পানিগুলোর অংশ প্রায় ৬০ শতাংশ। যদিও বেসরকারি খাতে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ ও নায়ারা এনার্জি এখনো রুশ তেলের বড় ক্রেতা হিসেবে সক্রিয় রয়েছে।

উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, গত ১৪ জুলাই ডোনাল্ড ট্রাম্প এক বক্তব্যে বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া শান্তিচুক্তি না হলে রাশিয়া থেকে তেল আমদানিকারক দেশগুলোর ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। এর পর গত বুধবার রাতে ‘ট্রুথ স্যোশাল’ প্ল্যাটফর্মে দেওয়া এক পোস্টে তিনি ভারতের বিরুদ্ধে ২৫ শতাংশ শুল্ক এবং রুশ তেল ক্রয়ের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত জরিমানার ঘোষণা দেন।

বিশ্লেষকদের মতে, এই অবস্থান ভারতীয় তেল আমদানিনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন এনে দিতে পারে। একইসঙ্গে, এটি বৈশ্বিক তেল বাজারেও নতুন অনিশ্চয়তা তৈরি করবে বলে মনে করা হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন