Sorry, you have been blocked

You are unable to access thailand-u31.com

Why have I been blocked?

This website is using a security service to protect itself from online attacks. The action you just performed triggered the security solution. There are several actions that could trigger this block including submitting a certain word or phrase, a SQL command or malformed data.

What can I do to resolve this?

You can email the site owner to let them know you were blocked. Please include what you were doing when this page came up and the Cloudflare Ray ID found at the bottom of this page.

শিক্ষকদের ওপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে তেতুলিয়ায় বিক্ষোভ মিছিল ও কর্মবিরতি

শিক্ষকদের ওপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে তেতুলিয়ায় বিক্ষোভ মিছিল ও কর্মবিরতি

শিক্ষকদের ওপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে তেতুলিয়ায় বিক্ষোভ মিছিল ও কর্মবিরতি

খাদেমুল ইসলাম- পঞ্চগড় প্রতিনিধি
খাদেমুল ইসলাম- পঞ্চগড় প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ০৮:১৪ ১৪ অক্টোবর ২০২৫

শিক্ষকদের ওপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদ ও ন্যায্য দাবি বাস্তবায়নের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে পঞ্চগড়ের তেতুলিয়া উপজেলা। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সকালে তেতুলিয়া উপজেলা শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে উপজেলার চৌরাস্তা বাজারের তেতুল গাছের নিচে অনুষ্ঠিত হয় এক বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও সমাবেশ। এতে অংশ নেন উপজেলার এমপিওভুক্ত বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা।

শিক্ষকরা জানান, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এই সময়ে বর্তমান বেতন কাঠামোয় জীবনযাপন করা কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই তারা মূল বেতনের সঙ্গে ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া ভাতা বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে আসছিলেন। কিন্তু এই যৌক্তিক দাবি আদায়ে ঢাকায় শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করতে গেলে পুলিশের হামলার শিকার হন শিক্ষকরা। পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড, জলকামান ও লাঠিচার্জে আহত হন অনেক শিক্ষক।

তেতুলিয়ার বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বক্তারা ওই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “একটি জাতি গঠনে শিক্ষকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। সারা বিশ্বে শিক্ষকরা সর্বোচ্চ মর্যাদার আসনে আসীন, অথচ বাংলাদেশে তাদের ওপর হামলা করা হয়েছে—এটি জাতির জন্য লজ্জার।”

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন ভজনপুর সহকারী প্রধান শিক্ষক জিল্লুর রহমান, সিপাইপাড়া সহকারী প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম রাসেল, শালবাহান সহকারী শিক্ষক সোহরাব আলী, কালানদীগঞ্জ মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা ওসমান গনী, ভজনপুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান, কাজী শাহাবুদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. এমদাদুল হক, মাঝিপাড়া কলেজের জহিরুল ইসলাম ও ফকিরপাড়ার শিক্ষক আজিজুল হক প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা ঘোষণা দেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি চলবে। এর ফলে তেতুলিয়া উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে ক্লাস কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়, শিক্ষার্থীরা ক্লাসে না পেরে ফিরে যায়।

বিক্ষোভে একাত্মতা প্রকাশ করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয় সম্পাদক ব্যারিস্টার মুহাম্মদ নওশাদ জামি এবং এনসিপির আহ্বায়ক অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান। তারা শিক্ষক সমাজের প্রতি সংহতি জানিয়ে বলেন, “শিক্ষকরা জাতির বিবেক। তাদের ওপর হামলা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।”

শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক ও শালবাহান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সোহরাব আলী বলেন, “আমরা আন্দোলন করতে চাই না, কিন্তু বাধ্য হয়েছি। সরকার যদি দ্রুত আমাদের দাবি মেনে নেয়, আমরা ক্লাসে ফিরে যাব। কিন্তু দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।”

বক্তারা আরও জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যদি দ্রুত শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবি পূরণে পদক্ষেপ না নেয়, তবে আন্দোলনের পরিধি আরও বিস্তৃত করা হবে এবং জাতীয় পর্যায়ে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

তেতুলিয়ায় অনুষ্ঠিত এই কর্মসূচি শুধু একটি জেলার প্রতিবাদ নয়—এটি দেশের সব শিক্ষকদের সম্মান ও অধিকার রক্ষার সংগ্রামের প্রতীক হয়ে উঠেছে।

বিজ্ঞাপন

https://moreshopbd.com/