বৃহস্পতিবার , ২১ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ফাইল ফটো
প্রকাশিত: ০৭:১৫ ১৯ আগস্ট ২০২৪
গাইবান্ধা জেলা বিএনপি অফিসের যুবদল কার্যালয়ে ভাঙচুর ও আগুন দিয়ে পোড়ানোর অভিযোগে আওয়ামী লীগের ৯৮ নেতাকর্মীর নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ১৫০ থেকে ১৯০ জনকে।
রোববার (১৮ আগস্ট) বিকেলে গাইবান্ধা সদর থানা সূত্রে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। এর আগে গতকাল শনিবার রাতে সদর উপজেলার বাদিয়াখালী ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বাদি হয়ে গাইবান্ধা সদর থানায় এই মামলা দায়ের করেন।
সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মৃদুল মোস্তাফিজ ঝন্টুকে প্রধান আসামি করে মামলায় হুকুমের আসামি করা হয়েছে গাইবান্ধা-২ সদর আসনের সাবেক এমপি ও জাতীয় সংসদের হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনির স্বামী শাহ শিল্পুকে।
এছাড়া মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন, গাইবান্ধা-২ সদর আসনের সদ্য সাবেক সাংসদ শাহ সারোয়ার কবীর, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুর জামান রিংকু, জেলা আওয়ামী লীগেরসহ সভাপতি ও সাবেক মেয়র শাহ আহাঙ্গীর কবির মিলন, সদর উপজেলা আ.লীগের সভাপতি রেজাউল করিম রেজা, শহর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওমর ফারুক রুবেল, জেলা যুবলীগের সভাপতি সরদার মো. শাহীদ হাসান লোটন, সাবেক সাংসদ মাহাবুব আরা বেগম গিনির ভাতিজা (দেবরের ছেলে) ও জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ আহসান হাবীবব রাজিব, আওয়ামী লীগ নেতা ও পৌর কাউন্সিলর কামাল হোসেন ও আসাদুজ্জামান হাসু, আওয়ামী লীগ নেতা জসিম বিহারী, গাইবান্ধা পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহ্বায়ক রিন্টু, সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তাহমিদুর রহমান সিজু ও সদ্য সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আসিফ সরকার।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, চলতি বছরের ১৭ জুলাই অনুমান বিকেল ৪টার দিকে অভিযুক্তরা হাতে লাঠি, সোটা, লোহার রড, কুড়াল, শাবল, বড় বড় ধারালো ছুড়ি, ককটেল ও পেট্রোলসহ মারাত্মক অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মিছিল নিয়ে সার্কুলার রোডস্থ জেলা বিএনপি অফিসের সামনে আসে। এ সময় আসামিরা জেলা বিএনপির অফিসের দক্ষিণ কোণে অবস্থিত জেলা যুবদল অফিসে ভাঙচুর চালায়।
ওই সময়ে এজাহারের ৮২ নম্বর আসামি শাহ শিল্পু যুবদল অফিস আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করে দেওয়ার হুকুম দিলে, হুকুম পাওয়া মাত্রই আসামিরা যুবদল অফিসে ককটেল নিক্ষেপ করে প্রচণ্ড বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় যুবদল অফিসের ভেতরে বসে থাকা কয়েকজন নেতাকর্মী আতঙ্কিত হয়ে পালিয়ে যেতে ধরলে অফিসের বারান্দায় ককটেল নিক্ষেপ করে আসামিরা প্রচণ্ড বিস্ফোরণ ঘটায়।
এছাড়া তারা যুবদল অফিসের ভেতরে থাকা ৫০টি চেয়ার ও টেবিল ভাঙচুর করে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।
আসামিরা যুবদল অফিস থেকে ব্যানার ফেস্টুন ও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ছবি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ছবি রাস্তায় এনে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। তারা যুবদল অফিসের দরজা, জানালা, ও সামনের বারান্দার রেলিং শাবল ও হাতুড়ি দিয়ে ভাঙচুর করে।
এসব ভাঙচুর ও আগুনের ঘটনায় আনুমানিক দশ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেও অভিযোগে দাবি করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন