বৃহস্পতিবার , ২১ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১০:৫৪ ২৫ আগস্ট ২০২৪
বরিশালের উজিরপুর উপজেলার সাতলা বাজারের ফিড ব্যবসায়ী ইদ্রিস হাওলাদার ও তার চাচাতো ভাই সাগর হাওলাদারকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুুর্বৃত্তরা। ধারণা করা হচ্ছে, মাছের ঘের নিয়ে বিরোধের জেরে এ হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে।
শনিবার (২৫ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার সাতলা বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় তাদের। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পূর্ব সাতলা ইউনাইটেড মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক রবিউল ইসলাম। নিহত ইদ্রিস হাওলাদার পশ্চিম সাতলা গ্রামের সোহরাব হাওলাদারের পুত্র এবং সাগর হাওলাদার একই বাড়ির শাহাদাত হাওলাদারের পুত্র।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত ১১টার দিকে ব্যবসায়ী ইদ্রিস হাওলাদার (৪০) ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে তার চাচাতো ভাই সাগর হাওলাদারের (২৭) মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন। রাস্তায় সাতলা বড় ব্রিজের পশ্চিম পাড়ের ঢালে গেলে দুর্বৃত্তরা তাদের গতিরোধ করে ব্যবসায়ী ইদ্রিসকে কুপিয়ে পায়ের রগ কেটে দেয়। এ সময় মোটরসাইকেল চালক তার চাচাতো ভাই সাগর বাঁধা দিলে তাকেও এলোপাথাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। আহতদের চিৎকারে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে এসে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে আগৈলঝারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। রাত পৌনে ২টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ব্যবসায়ী ইদ্রিস হাওলদার মৃত্যুবরণ করেন এবং কয়েক ঘণ্টা পর সাগরেরও মৃত্যু হয়।
নিহতদের চাচা সাবেক ইউপি সদস্য মোনাফছের হাওলাদার বলেন, সাতলা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার ও তার চাচাতো ভাই যুবলীগ নেতা আসাদ হাওলাদারের নেতৃত্বে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
তিনি আরও বলেন, গত ১৭ মার্চ গভীর রাতে ইদ্রিস হাওলাদারের মালিকানাধীন মাছের ঘের, মুরগির খামার ও পানি সেচ পাম্পে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ইদ্রিস হাওলাদার ও সাতলা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শাহীন হাওলদারের ও তার চাচাতো ভাই আসাদ হাওলাদারসহ ৪০-৪৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। এ ঘটনায় শাহীন চেয়ারম্যানকে জেল খাটতে হয়। তার প্রতিশোধ নিতেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে।
উজিরপুর মডেল থানার ওসি জাফর আহমেদ জানান, নিহত ইদ্রিস হাওলাদারের সঙ্গে একটি মাছের ঘের নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে এই জোড়া হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে। অপরাধীদের গ্রেপ্তার ও মামলার প্রস্তুতি চলছে।
বিজ্ঞাপন