চাটমোহরে গলায় ছুরি চালিয়ে বৃদ্ধ জেলেকে হত্যাচেষ্টা

চাটমোহরে গলায় ছুরি চালিয়ে বৃদ্ধ জেলেকে হত্যাচেষ্টা

জেলা প্রতিনিধি, পাবনা:
জেলা প্রতিনিধি, পাবনা:

প্রকাশিত: ০১:১৩ ১২ অক্টোবর ২০২৪

পুর্ববিরোধের জেরে পাবনার চাটমোহরে গোপাল চন্দ্র হালদার (৬০) নামের এক বৃদ্ধ জেলেকে গলায় ছুরি চালিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

শনিবার (১২ অক্টোবর) বিকেল চারটার দিকে চাটমোহর পৌর সদরের শাহী মসজিদ এলাকায় অবস্থিত একটি সেলুনে এ ঘটনা ঘটে।

আহত গোপাল হালদার শাহী মসজিদ এলাকার মৃত মনি হালদারের ছেলে। পেশায় জেলে। তার কোনো ছেলে নেই। মেয়েদের বিয়ে দিয়েছেন। বাড়িতে তিনি একাই বসবাস করেন। আর অভিযুক্ত নাপিত (সেলুন মালিক) জীবন দাস (৩২) উপজেলার বোঁথড় গ্রামের খগেন দাসের ছেলে।

ঠিক কি কারণে এই হত্যাচেষ্টার ঘটনা তা তাৎক্ষনিকভাবে জানাতে পারেনি কেউ। তবে কোনো কিছু নিয়ে বিরোধ ছিল বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে এলাকাবাসী।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার সময় গোপাল চন্দ্র হালদার জীবনের সেলুনে প্রবেশ করেন। এ সময় ভেতর থেকে দোকানের গ্লাস আটকানো ছিল। তিন-চার মিনিট পরে সেলুনের ভেতর থেকে চিৎকার চেঁচামেচি ও ধস্তাধস্তি শব্দ শোনা গেলে এলাকাবাসী এগিয়ে যায়। ভেতর থেকে গ্লাস আটকানো থাকার কারণে বাইরের লোক ভিতরে প্রবেশ করতে পারছিলেন না।

এ সময় কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই অভিযুক্ত জীবন দোকানের গ্লাস খুলে পালিয়ে যায়। পরে সেখানে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে গোপাল চন্দ্রকে উদ্ধার করে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন চিকিৎসক।

চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক আসিফ উদ্দিন খান জানান, 'আহত ব্যক্তির গলার বেশ অনেকটা অংশ গভীরভাবে কেটে গেছে। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। আমরা সেলাই দিতে পারছিনা ও রক্ত বন্ধ করতে পারছি না। তাই রাজশাহীতে রেফার্ড করা হয়েছে। তার অবস্থা সঙ্কটাপন্ন।'

এ বিষয়ে চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল আলম বলেন, 'এখন পর্যন্ত আহত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের খুঁজে বের করা সম্ভব হয়নি। কি কারণে ঘটনা ঘটেছে তাও জানা যাচ্ছে না। তবে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করে সেখান থেকে রক্তমাখা একটি চাকু জব্দ করা হয়েছে। অভিযুক্ত জীবনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। পরিবারের লোকজন আসার পর অভিযোগ দিলে মামলা হবে।'

বিজ্ঞাপন