সাবেক রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিমকে গ্রেপ্তারে পুরস্কার ঘোষণা!

সাবেক রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিমকে গ্রেপ্তারে পুরস্কার ঘোষণা!

ফটো সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক, মোরনিউজবিডি
নিজস্ব প্রতিবেদক, মোরনিউজবিডি

প্রকাশিত: ০৬:১৯ ৫ অক্টোবর ২০২৪

সাবেক রেলমন্ত্রী ও রাজবাড়ী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জিল্লুল হাকিমকে গ্রেফতার করা হলে ২ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন ফ্রান্স প্রবাসী এক আওয়ামী লীগ নেতা। বুধবার (২ অক্টোবর) রাতে বঙ্গবন্ধু পরিষদ ফ্রান্স শাখার সাধারণ সম্পাদক ও ফ্রান্স আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি আশরাফুল ইসলাম তার ব্যক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইলে এই ঘোষণা দেন। মুহূর্তের মধ্যে পোস্টটি ভাইরাল হয়ে যায়।

আশরাফুল ইসলাম তার পোস্টে লিখেন, রাজশাহী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, পাবনা, সিলেটের এমপি-মন্ত্রী গ্রেফতারের খবর আমি চাই না। র‌্যাব, ডিবি যদি রাজবাড়ীর সাবেক চোর ও দুর্নীতিবাজ রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিমকে গ্রেফতার করতে পারে, তবে তাদের ২ লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে আমার পক্ষ থেকে।

জানা যায়, আশরাফুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসে থাকলেও দেশে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে সোচ্চার। বিশেষ করে রাজবাড়ী জেলার রাজনীতি ও নেতাদের অনিয়ম নিয়ে তিনি প্রায়ই লেখালেখি করেন। সামাজিক সেবামূলক কার্যক্রমেও তার সক্রিয় অংশগ্রহণ রয়েছে।

আশরাফুল ইসলাম বলেন, রাজবাড়ী-২ আসনের সাবেক এমপি জিল্লুল হাকিম একজন দুর্নীতিবাজ ও জনগণের সম্পদ লুটপাটকারী। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের তাকে গ্রেফতারে উৎসাহিত করতে আমি ২ লাখ টাকা পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছি। রাজনৈতিক ভেদাভেদ ভুলে সকলকে এই দুর্নীতিবাজ নেতার বিচারের আওতায় আনার জন্য এগিয়ে আসা উচিত।

উল্লেখ্য, আশরাফুল ইসলাম ২০১৫ সালেও রাজবাড়ী জেলার মাদক ও সন্ত্রাস দমনে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দিয়েছিলেন।

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সাবেক রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম ও তার ছেলে আশিক মাহমুদ মিতুলসহ তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে রাজবাড়ীর আদালতে তিনটি ও বালিয়াকান্দি থানায় একটি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় অপহরণ, নির্যাতন, হত্যাচেষ্টা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত জিল্লুল ও তার ছেলে মিতুল গ্রেপ্তার হয়নি।

১৯৯৬ সাল থেকে ২০২৪ পর্যন্ত পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া জিল্লুল হাকিম অবৈধভাবে সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পতনের পর জিল্লুল হাকিমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে তিন হাজার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান ও তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বিজ্ঞাপন