হাতীবান্ধায় তথ্য গোপন করায় সরকারি করণ থেকে বঞ্চিত বিএমটি শাখা

হাতীবান্ধায় তথ্য গোপন করায় সরকারি করণ থেকে বঞ্চিত বিএমটি শাখা

জেলা প্রতিনিধি, লালমনিরহাট
জেলা প্রতিনিধি, লালমনিরহাট

প্রকাশিত: ০৯:৪৫ ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধার শহর উদ্দিন সরকার সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম প্রধান এর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ করেছেন একই প্রতিষ্ঠানের বিএমটি শাখার শিক্ষক কর্মচারীগণ। গত বুধবার  ওই বিদ্যালয়ের এইচএসসি বি এমটি শাখার শিক্ষক কর্মচারীগণ প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবর এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ওই প্রতিষ্ঠানে ২০০০ সালে এসএসসি ভোকেশনাল এবং ২০০২ সালে বি এমটি শাখাটি মূল প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত হয়। যা মে/২০০৪ সালে এমপিও ভুক্তি হয়। মূল প্রতিষ্ঠানের কোড নং৭৩৫০। এসএসসি (ভোক) এবং এইচএসসি বিএমটি শাখার কোড নং ১৫০১০। প্রতিষ্ঠানটির ঊওওঘ : ১২২৭৭৩. প্রতিষ্ঠানটি গত ১০.০৭.২০১৬ ইং তারিখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের স্মারক নং-০৩.০০১.০০০.০০.০০.০১.২০১৬-৩৪ অনুযায়ী সরকারীকরণের আদেশ প্রদান করা হয়। সেই মোতাবেক ১১.০৪.২০১৮ ইং তারিখ শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রতিষ্ঠানটি জাতীয়করণ করা হয়। সরকারি প্রজ্ঞাপনে দেশের বিভিন্ন উপজেলায় এ ধরনের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করা হয়েছে। কিন্তু উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম প্রধান তার ব্যক্তি স্বার্থের কারণে বিএমটি শাখাটি বাদ দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি জাতীয়করণ করেন। 
অভিযোগ পত্রে আরো উল্লেখ করা হয়, ২০১৬ সালে জাতীয়করণের সময় বিএমটি শাখার ১৬জন শিক্ষক কর্মচারীর নিকট জাতীয়করণের খরচ বাবদ ৮ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা গ্রহণ করেন প্রধান শিক্ষক। কিন্তু গত ৪ আগস্ট ২০২০ ইং তারিখে শিক্ষক -কর্মচারীর গেজেট ও প্রজ্ঞাপন জারি হলে সেখানে দেখা যায় বি এমটি শাখার শিক্ষক কর্মচারীগণ তালিকাভুক্ত হতে বঞ্চিত হয়েছেন।

বিষয়টি নিয়ে প্রধান শিক্ষকের সাথে বিএমটি শাখার কর্মচারীগণ যোগাযোগ করলে তিনি বিভিন্ন অজুহাতে কালক্ষেপণ করছেন। 
অভিযোগে আরো বলা হয়েছে, প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম প্রধান প্রতিষ্ঠানটিতে যোগদানের পর থেকে প্রতিষ্ঠানটির অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে আয়কৃত অর্থ এবং প্রতিষ্ঠানে ভর্তি, ফরম পূরণ, শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে অতিরিক্ত মাসিক বেতন, সেশন ফি নিয়ম বহির্ভূতভাবে তুলে আত্মসাৎ করেছেন।

এবিষয়ে প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম প্রধান বলেন ওই সময়ে সরকারীকরণের জন্য যে টিম এসেছিল তাদের ফর্মে টেকনিক্যাল কলেজের সরকারীকরণের কোন ধরনের অপশন ছিল না তাই সকল ধরনের চেষ্টা করেও টেকনিক্যাল কলেজটিকে সরকারীকরণের আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আতিকুল ইসলাম বলেন একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

বিজ্ঞাপন